Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোনার চেয়েও দামি

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সাপের বিষ যে কোনো অগ্রগামী শিল্পকে পিছনে ফেলতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ১ গ্রাম সোনার দাম ৪০.৬২ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি অর্থে ৩৩৩০ টাকা। অন্যদিকে ব্যান্ডেড ক্রেইট সাপের ১ গ্রাম বিষের মূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ২৮,৭০০ টাকা। তাছাড়া কোবরা সাপের বিষ প্রজাতি ভেদে ২৩৫ থেকে ৪৬৭ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। বর্তমানে ১ লিটার সাপের বিষের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাত্সরিক আয় ১৫০ কোটি টাকা যা সাপের বিষ বিপণন থেকে আয় হয়ে থাকে।
আমাদের দেশেও সম্ভাবনাময় এই শিল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রায় ১৭ লাখ বেদে বসবাস করে, যাদের কাজই হলো সাপ ধরা ও সাপ দিয়ে খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা। সরকারি উদ্যোগ ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে যদি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তবে এই বেদে সমপ্রদায়ের ভাগ্য পরিবর্তনসহ তাদের জীবন ও জীবিকার স্থায়ী বন্দোবস্ত করা সম্ভব। পাশাপাশি তাদের কর্মসপৃহা আর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই শিল্পের সমপ্রসারণ যদি করা যায় তবে অচিরেই বাংলাদেশ সাপের বিষ উৎপাদন ও সাপের মাংস, চামড়া রপ্তানিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করবে। আমাদের দেশে প্রায় ৬৭ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে ১৫ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত। যার মধ্যে একএকটি সাপ ১০ থেকে ৪০টি ডিম দিতে সক্ষম। তাই আমি মনে করি, সরকারিভাবে এই শিল্পের প্রসারে কাজ করতে হবে। সাপের বিষ উত্পাদনে অনুমতি দিয়ে তা বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হলে পোশাক তৈরি শিল্পের মতো বাংলাদেশও সাপের বিষ উত্পাদন ও বিপণন ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
জাহিদুর রহমান
কাপাসিয়া, গাজীপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দামি

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
১৮ জুলাই, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন