Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তদন্তে একাধিক টিম

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পায়েল খুন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করতে বাস থেকে নামিয়ে নেয়া হয় বলে ধারনা পুলিশের। তার নাক, মুখ ও মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম। ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে গজারিয়া থানায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত পায়েল বসুন্ধারার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ছিলেন। বসুন্ধারায় বাসা ভাড়া নিয়ে বন্ধুদের সাথে থাকতেন। তার বাবার নাম গোলাম মাওলা। তিনি কাতার প্রবাসী। চট্টগ্রামের স›দ্বীপ উপজেলার পূর্ব হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। গজারিয়া থানার ওসি হারুন অর রশীদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে। তার নাকে ও মুখে রক্তমাখা ছিল। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হানিফ পরিবহনের যে বাসে তিনি এসেছিলেন ওই বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ জন্য সময়ের প্রয়োজন।
পায়েলের মামা কামরুজ্জামান চৌধুরী টিটু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত ২১ জুলাই শনিবার রাতে হানিফ পরিবহনের বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন পায়েল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু আকিবুর রহমান আদর (২১)। পথে গাড়িটি ভোর ৪টার দিকে মেঘনা ব্রিজের কাছে পৌঁছলে যানজটে পড়লে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গাড়ি থেকে বাইরে যান পায়েল। একটু পর জট শেষ হয়ে গেলে গাড়ি ছেড়ে দেয়। কিন্তু তিনি আর গাড়িতে উঠতে পারেননি। এমনকি তার মোবাইলও গাড়িতে রয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, সকালে পায়েলের মা কোহিনুর বেগম ছেলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে পাশের সিটের থাকা তার রুমমেট আদর জানান পায়েল গাড়িতে নেই। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় নিখোঁজ পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব থানায় নিখোঁজ দেখিয়ে একটি জিডি করেন।
তিনি বলেন, পরে পায়েলের মামা বিপ্লব গাড়ির সুপারভাইজার জনিকে (৩০) ফোন করলে তিনি পায়েলের মামাকে জানান, ২১ জুলাই শনিবার চট্টগ্রামের একেখান সখিনাস্থ কাউন্টার থেকে রাত ১০টায় রওনা করেন তারা। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পায়েল গাড়ি থেকে বের হয়। জ্যাম ছেড়ে রাস্তা ফাঁকা হলে গাড়ি দ্রæত ছেড়ে দেয়। ফলে আর সে গাড়িতে উঠতে পারেনি।
পায়েলের মামা কামরুজ্জামান চৌধুরী টিটু বলেন, গত সোমবার গজারিয়া থানা পুলিশ খাল থেকে একটি লাশ উদ্ধারের কথা জানায়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়েলের লাশটি শনাক্ত করেন। পায়েলের মানিব্যাগে ২হাজার টাকা ও অন্যান্য কাগজপত্র ছিল, যা অক্ষত রয়েছে। আমরা এখনও ধারনা করতে পারছিনা পায়েলকে কেউ হত্যা করতে পারে। তবে, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত দাবি করছি। যাতে পায়েল নিহত হওয়ার প্রকৃত কারন জানা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যাকান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ