Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৮০ জন নিহত, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ইকুয়েডরের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর মুসনি থেকে ২৮ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে গুয়াইয়াকুল। ইকুয়েডরের ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিহতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেছেন। এর আগে তিনি নিহতের সংখ্যা ২৮ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি শনিবারের ভূমিকম্পকে ১৯৭৯ সালের ভূমিকম্পের চাইতেও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।
ভূমিকম্পের পর সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ে। তিনি এই দুর্যোগে দেশের জনগণকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ভূমিকম্পের খবর পেয়ে তিনি ইতালি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ। পেসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, ইকুয়েডরের কিছু উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি উঠতে পারে। ওই ভূমিকম্পের পর পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া স্থাপনাগুলোর ছবি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। ফেসবুকে প্রকাশিক এমনই এক ছবিতে দেখা যায়, গোয়াইয়াকুইল শহরের একটি বড় সেতু ও এক হোটেলের লবি ভেঙে গেছে। এছাড়া মান্তা শহরের এক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার ধসে পড়েছে। গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত গোয়াইয়াকুইল শহরটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা-সিএসইএম জানিয়েছে, ইকুয়েডর উপকূলে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। দেশটির উত্তরপশ্চিমে ৩০ কিলোমিটার দূরে আর মাটি থেকে যা ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত অঞ্চলের অনেক দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে ইকুয়েডরের উপকূলীয় কিছু এলাকায় এখনো সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৮০ জন নিহত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ