Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শষ্যবীমা আরো ডিজিটাল হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আবহাওয়া সূচকভিত্তিক জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি হ্রাসে জনপ্রিয় হচ্ছে শষ্য বীমা। প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পভুক্ত জেলায় মোট ২০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, বিভিন্ন পাইলটিং এর আওতায় ৯৬৪১ জন কৃষকের অনুক‚লে অতিবৃষ্টিপাতজনিত বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিজনিত ঝুঁকি আবরিত করে আবহাওয়া সূচক-ভিত্তিক পরীক্ষামূলক শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করা হয়েছে এবং উক্ত বীমা পলিসির বিপরীতে উত্থাপিত মোট ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৯ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি শষ্যবীমাকে আরো ডিজিটাইজড করা হচ্ছে। গতকাল মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবা বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। বীমা কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করণের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রথম প্রকল্পের ৬ষ্ঠ পাইলটিং-এর আওতায় উত্থাপিত বীমা দাবি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, প্রকল্প পরিচালক ওয়াসিফুল হক এবং বিকাশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষি-অর্থনীতিসহ বাংলাদেশের কৃষকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অনুদানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (এসবিসি) ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) থেকে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন প্রায়োগিক ধারণা।
সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, প্রকল্পের ৬ষ্ঠ পাইলটিং এর আওতায় প্রকল্পভুক্ত তিনটি জেলায় বোরো ধানের বিপরীতে ২ হাজার জন কৃষকের নিকট আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করা হয়েছে।
এদিকে এই বীমা দাবির টাকা দ্রæততম সময়ে পেয়ে খুশি রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষক শাকিল শেখ। তিনি জানান, বোরো ধানের ক্ষতির কারণে বেশ অসহায় বোধ করছিলাম। ৯০ দিনের মধ্যে বীমা দাবির টাকা পেয়ে আমি খুশি। একই অভিমত জানান গোদাগাড়ীর কৃষক শাহজালাল ও হুমায়ুন কবির। নোয়াখালির কৃষক শহিদুল আহসান তার ৫ বিঘা জমির শস্য বীমা দাবির ২ হাজার ৮৭৫ টাকা পেয়ে সাধারণ বীমা এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শষ্যবীমা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ