Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাফিকের কাজ করছে শিক্ষার্থীরা, পার পাচ্ছে না পুলিশের গাড়িও

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৮, ৫:০৯ পিএম

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে গাড়ির লাইসেন্স যাচাই করছে স্কুল পড়ুয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের যাচাইয়ের হাত থেকে মটরসাইকেল, প্রইভেট কার, কাভার্ড ভ্যান এমনকি পার পাচ্ছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন সহ পুলিশের গাড়িও। তবে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার গাড়ি তারা নিজে পার করা সুবিধা করে দিচ্ছে।
পথচারিরা বলছেন, এতদিন পুলিশ যা পরেনি এই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তা কওে দেখাচ্ছে। মতিঝিল এলাকায় গোলাম মর্তুজা নামে এক পেশাজীবী বলেন, আজ আমার হেঁটে যেতে কোনো কষ্ট হচ্ছে। আমাদে ছেলে মেয়েরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমরা কোন পথে হাঁটছি।
সরে জমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাজধানী শাপলা চত্বরে সকাল থেকেই অবস্থান নেয় হাজার হাজার স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী। তারা সবাই মতিঝিল আইডিয়াল, নটরডেমসহ সহ মতিঝিল এলকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। মতিরঝিল দিয়ে কোনো যানবাহ যেতে চাইলে তাদের কাছ থেকে বৈধ লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। লাইসেন্স দেখাতে না পারলে গাড়ির চাবি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে জমা দেয়। আবার উল্টো রাস্তা দিয়ে যেতে দেয়নি কোনো রিকশা। কেউ যেতে চাইলে তার রিকশার চাকার হওয়া ছেড়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাদের মধ্যে একাজ বলেন, আমরা আমাদের বন্ধু হত্যার বিচার চাই। আজ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে অদক্ষ চালকের মাধ্যমে গাড়ি চালানোর কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে। আামরা আমাদেও উজ্জল ভবিষ্যৎ চাই।
এদিকে শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে জড়ো হয়ে সড়কে অবস্থান নেয় শতশত শিক্ষার্থী। বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের এসে তাঁরা মোড়টিতে অবস্থান নেয়। ব্যারিকেড দিয়ে শাহবাগে ঢোকার প্রতিটি মোড়ে একটি করে লেন তৈরি করেছে শিক্ষার্থীরা। ওই মোড়ের চেক পয়েন্টে দাঁড়িয়ে একেকটি গ্রুপ হয়ে চালকের লাইসেন্স দেখছে তারা। চালকের লাইসেন্স পেলে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যেসব চালকের লাইসেন্স নেই, তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে তারা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে।
এদিকে লাইসেন্স দেখাতে না পারায় রাজধানীর শনির আখড়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সাইফুল নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। বেলা ১২টার দিকে শনির আখড়ায় ওভার ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এসআই সাইফুল মোটরসাইকেল যোগে রায়েরবাগ থেকে যাত্রাবাড়ী থানায় যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনির আখড়ায় পৌঁছলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসআই সাইফুলকে আটকে দেয় এবং লাইসেন্স দেখাতে বলে। কিন্তু ওই পুলিশ অফিসার লাইসেন্স দেখাতে না পারায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরই এক পর্যায়ে ওই পুলিশ অফিসার বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি মাথায় আঘাত পান এবং পার্শ্ববর্তী একটি এটিএম বুথে আশ্রয় নেন। পরে বাড়তি পুলিশ এসে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
বেলা ১১টার দিকে উইনার পরিবহনের একটি বাস আটকায় শিক্ষার্থীরা। বাসটি যাত্রী নিয়ে গুলশান থেকে আজিমপুরের দিকে যাচ্ছিল। ল্যাব এইডের সামনে আসার পর শিক্ষার্থীরা বাসটি থামিয়ে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায়। চালক বৈধ লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে বাসটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিহঙ্গ পরিবহনের আরেকটি বাস থামিয়ে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। চালক লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তখন চালককে নামিয়ে দিয়ে নিজেরাই বাসটি ঠেলে সরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। বাসে থাকা যাত্রীদেরও নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই বাসটি ঠেলে নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির সামনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে নিয়ে ব্যারিকেড দেয় তারা।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ২ আগস্ট, ২০১৮, ৯:১৫ পিএম says : 0
    Ekhon dekha jachse eai polish department rakha hoyse birodhi doler lokjon o shadharon manushke koshto jontrona o manusher pocket khali korar jonno.skool colleger satro je kajta shondorvabe kortese shei shadharon kajta korte parena tahole eai departmenta manusher tex er takai gharer bujha banaia rekhe desher manushke eaivabe jimmi kore rakhar kono ortho ase?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাফিকের কাজ করছে শিক্ষার্থীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ