মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কাতারে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের এক বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। ফলে আপাতত বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ আর কমছে না। ওপেকের বৈঠকে তেল উৎপাদন হ্রাস করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় গত সোমবার দিনের শুরুতেই এশিয়ার বাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
মতৈক্যে না পৌঁছানোর কারণ হিসেবে সউদি আরব ও ইরানের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হচ্ছে। বিএমআই গবেষণা কেন্দ্রের বিশ্লেষক পিটার লি বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক মতপার্থক্যগত কারণেই এমনটি হয়েছে। মার্কিন ব্যাংক মর্গান স্টানলি বলেছিলো, ওপেক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। যে কারণে তেল উৎপাদন নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো ঐকমত্যও হচ্ছে না। এ অবস্থায় তেলের ব্যাপক সরবরাহ বাজার অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের বিষয়।
গত সোমবার সকালে হংকং ও সিঙ্গাপুরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫ শতাংশেরও বেশি কমে প্রতি ব্যারেলের দাম ৩৮.৫২ ডলারে নেমে এসেছে। ওপেকের বৈঠকে অংশ নেয়নি ইরান। দেশটি তেলের উৎপাদন আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছায় যখন এর দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলারেরও নীচে। পরে অবশ্য দাম কিছুটা বেড়ে ৪০ ডলারে পৌঁছায়। এর কারণ ছিল, দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে গত রোববার দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওপেকের ১৮ সদস্য তীব্র বাদানুবাদ করলেও উৎপাদন হ্রাস বা সীমিত রাখার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়।
কাতারের রাজধানী দোহায় গত রোববারের বৈঠকে তেলের উৎপাদন গত জানুয়ারিতে যেমন ছিল, ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তেমনই রাখার ব্যাপারে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সউদি আরবের এই প্রস্তাবে ইরান রাজি হয়নি। তারা বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিও পাঠায়নি। ইরান বলেছে, আমরা যেহেতু প্রতিনিধি পাঠাইনি, তাই এই চুক্তিতে স্বাক্ষরেরও কোনো প্রশ্ন আসে না।
সিরিয়া ও ইয়েমেনে পরোক্ষভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত সুন্নি প্রধান সউদি আরব ও শিয়া অধ্যুষিত ইরান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় ব্যস্ত। আর তাদের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের পড়ছে তেলের বাজারে। দোহা বৈঠকের ব্যর্থতার পর একটি বিষয়ই পরিষ্কার হয়ে গেছে, ওপেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাইরে থেকে সমন্বয় সাধনের বিষয়টিও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।