Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাণিজ্য আর ঋণের মাধ্যমে একুশ শতকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে চীন-২

টাইমস অব ইন্ডিয়া : | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ইয়ু থেকে প্রথম ইউরোপ-গামী ট্রেন ছাড়ে ২০১৪ সালের নভেম্বরে। কাজাখস্তান ও রাশিয়া, তারপর পূর্ব ইউরোপ হয়ে গন্তব্য মাদ্রিদ। ৮ হাজার মাইল দীর্ঘ বিশ্বের দীর্ঘতম মালবাহী ট্রেন রুট এটা। তারপর থেকে লন্ডন, আমস্টারডাম, তেহরানসহ অন্যান্য গন্তব্যকে যুক্ত করতে আরো পথ খোলা হয়েছে।
রিয়াল স্টার ব্রান্ডকে তার ছাতা কোম্পানির প্রধান পণ্য করে তোলাই এখন এখন ঝাং-এর স্বপ্ন। অনেকদিন থেকেই ইউরোপ তার বৃহত্তম বাজার। নতুন মালবাহী ট্রেনটি প্রথম ইয়ুতে আসার সময় থেকেই কাজাখস্তান থেকে রাশিয়া হয়ে ইরান পর্যন্ত গোটা রুট বরাবর তিনি ক্রেতা সংগ্রহ করেছেন।
ট্রেন ইউরোপে পণ্য প্রেরণের সময় জাহাজের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বা আরো বেশি কমিয়ে দিয়েছে। ফিরতি পথে ট্রেনগুলো যেসব ইউরোপীয় পণ্য নিয়ে আসে তার মধ্যে থাকে ওয়াইন, অলিভ অয়েল, ভিটামিন বড়ি ও হুইস্কি। চায়না রেলওয়ে এক্সপ্রেস কোং বলেছে, ইয়ু থেকে পাশ্চাত্যমুখী ট্রেনের মালামালের মূল্য ২০১৮ সালের প্রথম চারমাসে এক বছর আগের চেয়ে ৭৯ শতাংশ বেড়ে ১.৮ বিলিয়ন ইউয়ানে (২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার) পৌঁছেছে। অন্যদিকে আমদানি ৩ গুণ বেড়ে হয়েছে ৪৭ কোটি ইউয়ান। তা সত্ত্বেও রেলে যে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে তা চীনের মোট রফতানির ১ শতাংশ। ট্রেন ইউরোপে যাওয়ার সময় কমিয়ে আনলেও তা সমুদ্র পথে বাণিজ্যের চেয়ে অধিক ব্যয়বহুল এবং বিমান কার্গোর চেয়ে কম নমনীয়। তবে ইয়ুর মত শহর এবং বিশেষ করে সমুদ্র বন্দর থেকে বহুদূরের পশ্চিম চীনের অর্থনীতিতে প্রেসিডেন্ট শি’র চালু করা ট্রেন নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।
হাম্বানটোটা, শ্রীলংকা
দক্ষিণ শ্রীলংকার এক জঙ্গলে ধর্মসেনা হেত্তিআরচি কলাগাছের ছায়ায় জন্মানো মরিচ সংগ্রহ করেন। শ্রীলংকা ব্রিটিশ আমলে যখন সিলোন নামে পরিচিত ছিল তখন তার পিতামহ এ জমি চাষ করতেন। রোদ থেকে বাঁচতে ধর্মসেনা একটি টিক গাছের নিচে এসে বসেন। তারপর তার চওড়া কানার হ্যাট খুলে বলেন, চীনের তৈরি কোনো জিপ যদি রাস্তায় আসে গোটা গ্রাম জড়ো হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।
ধর্মসেনার গ্রাম ও হাম্বানটোটার চারপাশের এলাকা শি’র বেল্ট অ্যান্ড রোড আকাক্সক্ষার ব্যাপারে হুঁশিয়ারির গল্প হয়ে উঠেছে। যে বন্দরটিতে মাসে একটিরও কম জাহাজ আসত সেই বন্দরটিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড নৌ রুটের একটি আধুনিক ব্যস্ততম বন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনার কাজ চলছে। কিন্তু তা সহজে হয়নি। হাম্বানটোটার মানুষ মাহিন্দ রাজাপক্ষেকে শ্রীলংকার মানুষ ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পর তিনি এ অঞ্চলে উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। ২ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার শ্রীলংকার এটি ছিল অন্যতম স্বল্পোন্নত অঞ্চল। বেল্ট অ্যান্ড রোড চীন সরকারের নীতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই চীন এখানে হাত বাড়াতে চাইছিল। চীনা ঋণ রাজাপক্ষের ইচ্ছা পূরণে সহায়ক হয়। ১১ হাজার ২শ’ লোক অধ্যুষিত হাম্বানটোটায় একটি নতুন বন্দর, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও একটি বিমান বন্দর নির্মাণ করা হয়। বিমান বন্দরে স্টাফ থাকলেও তা বিমান চলাচলের তালিকাভুক্ত বিমান বন্দর হয়নি।
এখানে ও অন্যান্য স্থানের প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রাজাপক্ষে সরকার ঋণে ডুবে যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, হাম্বানটোটা বন্দরের প্রকল্পে চীনের আমদানি-রফতানি ব্যাংক আংশিক ঋণ দিয়েছিল। ২০১৫ সালে রাজাপক্ষে ক্ষমতাচ্যুত হলে শ্রীলংকা সরকারের ৯০ শতাংশ রাজস্ব ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতে থাকে।
গত বছর শি’র বেল্ট অ্যান্ড রোড পরিকল্পনা পূর্ণ গতিতে অগ্রসর হলে নতুন সরকার ঋণ সহজীকরণের দিকে এগোয়। ১১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে সরকার হাম্বানটোটাকে মূলত চীনের কাছে তুলে দেয়। ৯৯ বছরের চুক্তি মূলে সরকার বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি চায়না মার্চেন্ট গ্রুপকে প্রদান করে।
চায়না মার্চেন্ট বন্দরটির পুনরুজ্জীবন ও এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কিছু স্থানীয় মানুষ বহু প্রতিশ্রুতি দেখেছেন। শ্রীরংকার বর্তমান সরকারের বিরোধী স্থানীয় রাজনীতিক সিসিরা কুমারা ওয়াহালাথান্ত্রি বলেন, বন্দরে কোনো জাহাজ আসছে না। বিমান বন্দরে নামে না কোনো বিমান।
৩০ বছরের গৃহযুদ্ধের পর শ্রীলংকানরা বিনিয়োগ দেখলে আনন্দিত হয়, যে কোনো ধরনের বিনিয়োগ। বন্দর ও চারপাশের শিল্পাঞ্চরে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে, পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানচ্যুত হয়ে হাতিগুলো নিয়মিত ভাবে বন্দরের বেষ্টনির মধ্যে প্রবেশ করছে। কাছের এক প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু বেরাগামা বিমলা বুদ্ধি থেরো বলেন, তিনি প্রতিবাদ বিক্ষোভে যোগ দিতে শুরু করেছেন, কারণ এলাকার জীবনযাত্রা হুমকির সম্মুখীন। তার মন্দিরটি ধ্বংস করা না হলেও কাছের খামারগুলো থাকবে না। তখন তিনি ও তার সতীর্থ গেরুয়া পোশাক পরা ভিক্ষুরা কোনো ভক্ত পাবেন না।
হাম্বানটোটা বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটি চীনা কলোনি হতে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে চীনারা অগ্রগতির নামে নিজেদের নদীগুলো দূষিত করেছে। এ ধরনের দূষণ যদি এখানেও শুরু হয় তাহলে উন্নয়নের অজুহাতে সে ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না।
মরিচ চাষী ধর্মসেনা তার এলাকায় আসা জরিপকারীদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তারা মাপজোক করছে ও সেগুলোর চিহ্ন স্থাপন করছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য্র তাকে দেশের পূর্বাঞ্চলে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। এসব ঘটছে খুব দ্রুত। উঁচু টিক গাছের দিকে নির্দেশ করে ৫২ বছরের চাষী বলেন, এ রকম একটি গাছে আমার জীবনকালে জন্মাতে পারে না।
গোয়াদর, পাকিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমে মরুভ‚মি বেষ্টিত এলাকায় পাথর নির্মিত তোরণে লেখা আল নূর। আরো খানিকটা দূরে একটি সড়কে জাহাজের একটি কালো কন্টেইনারে লেখা ঃ গোয়াদর ক্রিক অ্যারেনা।
আল নূর ও গোয়াদর ক্রিক হচ্ছে পরিকল্পিত গৃহায়ন উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতাধীন। এখানে কিছুই হয়নি। এ রকম আরো আছেঃ হোয়াইট পার্লরসিটি, কানাডিয়ান সিটি, সান সিলভার সিটি ও অন্যান্য সাইনবোর্ড। এগুলো সবই গোয়াদর নামের সূর্যতাপদগ্ধ একটি পুরনো ‘ফিশিং ভিলেজ’-এর উপকন্ঠ জুড়ে ভবিষ্যত প্রকল্প।
গোয়াদর হচ্ছে চীনের স্বপ্ন শহর। বেইজিং এখানে মহাসড়ক ও সড়ক , হাসপাতাল, কয়লা জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুত প্ল্যন্ট, একটি নতুন বিমান বন্দর, শেনঝেনের পাশাপাশি একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি বিমান বন্দর নির্মাণে অর্থ ঢালছে। এখানে যেসব ঘটনা ঘটছে তা বেল্ট অ্যান্ড রোড রুটের আওতায়।
গোয়াদরে একটি পুনঃউন্নয়ন মূলক প্রকল্প শুরু হয় ২০০০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের উদ্যোগে। ২০১৩ সালে আসে চীনারা। একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে দ্বি-জাতিক প্রকল্প শুরু হয়। ৬০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় সাপেক্ষ চীন -পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ভুক্ত এ প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোডেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ লক্ষ্যে বেইজিং গোয়াদর বন্দর ও অন্যত্র অবকাঠামো নির্মাণে ১শ’ কোটি ডলার ব্যয় করছে।
আরব সাগরে ওমানের বিপরীতে অবস্থিত গোয়াদর এত দূরে যে তার বিদ্যুত আসে ইরান থেকে যা উপকূল থেকে ৬০ মাইল দূরে। এখন গোয়াদর ফিশিং ভিলেজের লোক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ। গোয়দরের পরিবর্তন হচ্ছে।
৪০ বছর বয়স্ক দোকানি গোলাম হোসেন বলেন, পুব দিকে ৮ ঘন্টার গাড়ি চলা দূয়রত্বে অবস্থিত করাচি থেকে প্রতি মাসে তিনি ৬ থেকে ৮টি ট্রাক ভর্তি চাল, আটা, চিনি ও অন্যান্য মুদি দোকানির সামগ্রী তার কাছে আসে। পাঁচ বছর আগে এক মাসে তিনবার সরবরাহ তার প্রয়োজন মিটাত। আগে গোয়াদরে কিছুই ছিল না। এটা ছিল জনবিরান। আমরা আসলেই পিছিয়ে ছিলাম। যেই চীনারা এল, আমাদের ব্যবসার প্রসার শুরু হল।
এসব সত্তে¡ও গোয়াদরকে পূর্ব চীন থেকে ৩ হাজার মাইল বিস্তৃত রড়ক ও রেলপথের সংযোগ কেন্দ্র বলে ধারণা করা কঠিন। এ দীর্ঘ পথের অধিকাংশই পাহাড় ও মরুভূমিময়; অবন্ধুসুলভ ও অর্থনৈতিক ভাবে সম্ভাবনা হীন।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক পাবলিক পলিসি থিংক ট্যাংক জার্মান মার্শাল ফান্ড অব দি ইউনাইটেড স্টেটস-এর সিনিয়র ট্রান্সআটলান্টিক ফেলো অ্যান্ড্রু স্মল বলেন, রেললাইন অদূর ভবিষ্যতে কোনো অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বহন করে না। পাকিস্তানের অর্থনীতি ও পশ্চিম চীনের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে দেখা দরকার।
কেউ কেউ বলছেন যে সামরিক সম্প্রসারণই হচ্ছে গোয়াদরের ভিতর ও বাইরের সকল কর্মকান্ডের মূল বিষয়। মার্কিন কংগ্রে সদস্য টেড ইয়োহো ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক বিষয়ে কংগ্রেসের শুনানিতে বলেন, গোয়াদর বন্দর প্রদর্শন করছে যে এর সাথে চীনের সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের ঋণ নিয়ে করা মোবাইল ফোনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহিদ আলি এ সব বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে দেখেন। ঋণের ৮ লাখ রুপি (৬ হাজার ৩ শ’ ডলার) পরিশোধে উদ্বিগ্ন জাহিদ একন ক্রেতার কাছে জানতে চান যে পাকিন্তানে এমন কোনো চাকুরি আছে কিনা যাতে তিনি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেতে পারেন। ক্রেতা তাকে বলেন, গোয়াদরে যান।
তিনি গোয়াদরে আসেন। প্রথমে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ইস্পাতের কাজ শেখেন। তিনি শিগগিরই মাসে ৫৫হাজার রুপি আয় করতে শুরু করেন। এখন তিনি কিছুটা চীনা ভাষা শিখেছেন। উন্নীত হয়েছেন সুপারভাইজার পদে। তিনি বলেন, আমরা ভালো টাকা পাচ্ছি। সে কারণে বহু দূর থেকে এখানে লোক আসছে। তিনি আরো বলেন, চীনারা এসে ভালো হয়েছে। বহু বেকার লোক কাজ পাচ্ছে।
চীনারা স্থানীয় লোকজনের সাথে মেশে না। তাদের ১৫০ জনের মত লোক একটি প্রহরাধীন ও গেট লাগানো কম্পাউন্ডে বাস করে। সেখানে সবুজ জাহাজি কন্টেইনারগুলোকে থাকার জায়গায় রূপান্তরিত করা হয়।
পর্যটকদের চোখে পড়বে যে গোয়াদরের রাস্তায় পুলিশের চেয়ে সৈন্যের সংখ্যা বেশি। সারা পাকিস্তান জুড়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে এ পূর্বসতর্কাবস্থা। একজন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, কড়া নিরাপত্তা ছাড়া চীনারা আসত না। তিনি বলেন, শহরের প্রবেশ পথের সর্বত্রই চেক পয়েন্বট আছে।
প্রাদেশিক সরকারের চাকুরে ২৫ বছর বয়স্ক নাসিম আহমেদ বলেন, এখানে কঠোর নিরাপত্তা। আপনি ভোর ৩ টাতেও ঘরের বাইরে আসতে পারেন। কোনো ভয় নেই। (আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ