Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরিবহন ধর্মঘটে পোশাক খাতে ব্যাপক ক্ষতি

চট্টগ্রামে বিজিএমইএ’র সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কয়েক দিনের পরিবহন ধর্মঘটে পোশাক রফতানিকারকরা আর্থিক ক্ষতিতে আছেন বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ ধরনের কর্মসূচিতে বহির্বিশ্বে দেশের ইমেজ সঙ্কট হয় বলেও জানান বিজিএমইএ নেতারা। দেশের আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরকে গতিশীল করারও দাবি জানান তারা। গতকাল বুধবার নগরীর খুলশীতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ভবনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা এ কথা বলেন।
সভায় বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা ফিরে গেল। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরের দুইদিন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘটে জনজীবনের পাশাপাশি আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বিঘ্নি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। আমদানি করা পণ্য বন্দর থেকে নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং রফতানিযোগ্য পণ্য জাহাজীকরণের জন্য সময়মত বন্দরে পৌঁছানো যায়নি। তিনি বলেন, পণ্য জাহাজীকরণে ব্যর্থ হওয়ায় ডিসকাউন্ট দিতে হবে এবং বেশি ভাড়ায় বিমানযোগে পাঠাতে হবে। এজন্য বন্দরে জট এবং বর্হিবিশ্বে ইমেজ সঙ্কট সৃষ্টি হয়। ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যায়।
পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে রফতানিযোগ্য এক হাজার ১৬৮টি কন্টেইনার ছাড়াই পাঁচটি জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে অধিকাংশই তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্যবাহী কন্টেইনার। এবারের ঈদে পরিবহনের ঘোষিত ও অঘোষিত ধর্মঘটে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিকারকদের পক্ষে সময়মত মজুরি পরিশোধ কষ্ট সাধ্য হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এ শিল্পে ৪৫ লাখ শ্রমিক। দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এমন কিছু কারোই করা ঠিক হবে না যাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশা করি সরকার ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বন্দরের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্বল্পতার চিত্র তুলে ধরে তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরে মোট ধারণ ক্ষমতা- ৪৮ হাজার টিইইউএস। গত ২৯ জুন বন্দর ইয়ার্ডে মোট কন্টেইনার ছিল ৪১ হাজার টিইইউএস। ৭ জুলাই কন্টেইনারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৫০৭ টিইইউএস। এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কারণে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারীতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। একদিকে পরিবহন ধর্মঘটসহ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি, অন্যদিকে বন্দরের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, পর্যাপ্ত ইক্যুপমেন্ট না থাকায় প্রায়শই জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়, যা- প্রতিনিয়ত তৈরী পোশাক খাতের গতিশীলতা ব্যহত করে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বন্দরের গতিশীলতা বাড়াতে বলা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. ফেরদৌস, পরিচালক কাজী মাহবুব উদ্দিন জুয়েল, সাইফুল্লাহ মনসুর এবং আমজাদ হোসেন চৌধুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজিএমইএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ