Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফের ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ায়

৩৪০ বার পরাঘাত : নিহত ৩৮১, বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৫৬ হাজার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপে আবারো ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গত রোববারের ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পুনরায় দুর্যোগ আঘাত হানলো দ্বীপটির ওপর। এতে ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দ্বীপটির ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো আরো ধসে পড়েছে। এবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.৯। এটি পূর্বের ভূমিকম্পের তুলনায় কম শক্তিশালী। দেশটির ভূ-তাত্তিক সংস্থা বলেছে, ভূপৃষ্ঠের ১২ কিলোমিটার গভীরে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়। ভূকম্পনের মাত্রা তত বিপজ্জনক না। এতে সুনামি হওয়ার আশঙ্কা কম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লম্বক দ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। এর আগে গত রোববার সেখানে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ পর্যন্ত ৩৮১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয় আরো ২ শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের কারণে গৃহহারা হয় ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে তারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪শ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা ১৩১ জন জানালেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে নিহতের সংখ্যা কত তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। কারো হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৩৪৭ জন, কারো হিসাবে ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ৭৮ জনই লম্বোকের উত্তরাঞ্চলের। ওই অঞ্চলে ৪২ হাজার ঘরবাড়ি-ভবন ভেঙে পড়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে জীবিতদের সন্ধান করছে। বাদবাকী নিহতরা হচ্ছে পশ্চিম লম্বোকে ২৪ জন, পূর্বে ১৯ জন, মাতরম শহরে ৬ জন, শহরের কেন্দ্রস্থলে ২ জন এবং পাশের বালি দ্বীপে ২ জন। উত্তর লম্বোকের রাস্তায় প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। স্থানীয়রা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য অর্থ চাইছে। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে গত মঙ্গলবারও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন ধসে পড়া একটি মুদি দোকানের নিচ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এবারের ভূমিকম্পে দ্বীপের প্রধান শহর মাতরমের ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইমান বলেন, ভূমিকম্পে পুরো শহর কেঁপে উঠলে সবাই আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সি (বিএনপিবি )। ভূমিকম্পে সেতু ধসে পড়ায় এবং কোথাও কোথাও পাহাড়ি রাস্তাঘাট, গাছ, পাথর ও মাটি পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়া মানুষজন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এমনকি তাদের কাছে সুপেয় পানি পর্যন্ত নেই। তাদের জরুরি ত্রাণ প্রয়োজন। বিএনপিবি মুখপাত্র সুটোপো পুরউও নুগরোহো বলেন, ‘আবারো ভূমিকম্পের আশঙ্কায় হাজার হাজার আতঙ্কিত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে খোলা আকাশের অবস্থান করছে। কেউ কেউ নিরাপদ মনে করে পাহাড়ের উঁচু স্থানে চলে গেছে। তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছান অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমিকম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ