Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নারায়ণগঞ্জের খয়াঘাটে গরুর হাট না থাকায় এলাকাবাসির হতাশা

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নারায়ণগঞ্জের বন্দর ১নং খেয়াঘাটে এবার পশুর হাটের ইজারা না দেয়ায় বন্দরবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য বহণকারী এ হাটটি না হওয়ায় বন্দরেরর আপামর জন সাধারণেরর মাঝে মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমিন আবাসিক এলাকার জনৈক বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বন্দর ১নং খেয়াঘাটটি অত্যন্ত নিরাপদ একটি হাট। এই হাটে যেমন নিরাপত্তা তেমনি জলপথ ও স্থলেপথে সুবিধাও রয়েছে। হাটটি ইজারা না দেয়ায় আমাদের দূর-দূরান্তের হাট থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে হচ্ছে। গত দু’বছর ব্যবসায়ী শাহ আলম যেভাবে হাটটি পরিচালনা করেছেন তাতে বন্দরবাসীর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। র‌্যালি আবাসিক এলাকার জনৈক বাসিন্দা লোকমান হোসেন জানান, বন্দর হাটের পাশে ৪টি আবাসিক এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস আমাদের এসকল বাসিন্দাদের সুবিধার্থে বন্দর পশুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু হাটটি এবার ইজারা না দেয়ায় আমাদেরকে ভোগান্তি বেড়েছে। বন্দরের হাট না হওয়ায় ৫কিলোমিটার দূরে গিয়ে গরু-ছাগল করাটা খুবই দুস্কর ব্যাপার। আমাদের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের জোর দাবি বন্দর ১নং খেয়াঘাটটির যাতে ইজারা দেয়া হয়। লেজারার্স আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোঃ বিপ্লব জানান,১নং খেয়াঘাটের এ হাটটি বন্দর থানার সবচেয়ে বৃহত্তর অথচ বন্দর এলাকার জনদুর্ভোগ লাঘবে এ হাটটি বেশ গুরুত্ব বয়ে আনে। এবার গরুর হাটের ইজারা না থাকায় একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে সরকার অন্যদিকে দুর দুরান্ত থেকে গরু ক্রয় করে বহন করতেও এ এলাকার মানুষের বেশ বেগ পেতে হবে। গত বছর বন্দর খেয়াঘাটে খুব সহজেই মানুষ গরু ক্রয়সহ অন্যান্য সেবা পেয়ে আনন্দে বাড়ী ফিরেছে। তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় হওয়ায় বিভিন্ন ঘাট থেকে ট্রলার যোগে হাজার হাজার গরুর সমাগম ঘটে এ হাটে। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বন্দর ১নং খেয়াঘাট’স্থ গরুর-হাট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ