Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজা বাবু বিক্রি হলো সাড়ে ১৮ লাখ টাকায়

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) থেকে মো. সোহেল রানা খান : | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

অবশেষে সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলো সাটুরিয়া উপজেলার কৃষক খাইরুল ইসলামের ৫৫ মন ওজনের ষাঁড় রাজা বাবু। রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে এবার কোরবানির ঈদে বড় চমক ছিল জা বাবু। বিক্রি করার জন্য রোববার (১৯ আগস্ট) ভোরে হাটে নেওয়া হয়েছে ছিল বড় ষাঁড়টিকে। গাবতলী পশুর হাটে রাজা বাবু সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছে খাইরুল ইসলামের মেয়ে ইতি আক্তার।
ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলীর বাড়িতে কুরবানি দেয়া হয় ষাঁড়টিকে।
জানা গেছে, গাবতলী পশুর হাটে ষাঁড়টি নিয়ে বিপাকে পড়ে ছিল সংশ্লিষ্টরা। কারণ শত শত উৎসুক জনতার ভিড় করে গরুটিকে দেখতে। কেউ তুলছেন সেলফি, কেউ ব্যস্ত ছিল ফটোসেশনে। শত শত মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। গাবতলী হাটে মানুষের ছবি তুলার চাপ সামাল দিতে অনুরোধ করেও সরানো যায়নি। পরে পুলিশ ডাকতে হয়েছিল মানুষ সরানোর জন্য।
সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রাজা বাবুর লালন পালন হয়েছে রাজার মতই। রাজা বাবুর থাকার ঘরে লাগলো হয়েছিলো ৫ টি ফ্যান। ২৪ ঘন্টায় ২০ বার গোসল করানো হতো। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ছিলো ২০ কেজি ভূসি, ১০ হালি কলা, ২ কেজি মাল্টা, ৫ হালি কমলা লেবু, ২ কেজি চিড়া, ১ পোয়া ইসুফগুলের ভূসি, কয়েকটি বেল ও ডাব দিয়ে বানানো শরবত ইত্যাদি
এই ষাঁড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সার্বক্ষণিক খোজ খবর রেখেছিলো চিকিৎসক। আর তার নিরাপত্তায় রাতে পুলিশ টহলও দেয়া হতো। রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজারো মানুষ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম খান্নুর বাড়িতে ভিড় করেছে।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান জানায়, ৬ দাঁতের ওই ষাঁড়ের আকার ও ওজন পরিমাপ করেছেন তিনি। এতে দেখা যায়, গরুটির উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট, বুকের পরিমাপ ১০ ফুট, মুখ চওড়া ৩ ফুট ২ ইঞ্চি, গলার বেড় ৫ ফুট, শিং ১ ফুট লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন ২ হাজার ২০০ কেজি অর্থাৎ গরুটির ওজন ৫৫ মনের কাছাকাছি।
রাজা বাবুর পালন কারী খাইরুল ইসলাম খান্নু জানায়, প্রতিদিন রাজা বাবুর জন্য তার খরচ হতো প্রায় ২ হাজার টাকা। দুই বছর আগে সাভার উপজেলার বারাহিরচর এলাকার কৃষক কুদ্দুস মুন্সীর কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ১৮ মণ ওজনের এই হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি কেনেন সে। এক বছর লালন পালনের পর গত কোরবানির ঈদের সময় গরুটির ওজন দাঁড়ায় ৩৯ মণে। ক্রেতারা গরুটির দাম করেছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটু বেশি দামে বিক্রি করার আশায় গতবার গরুটি বিক্রি করতে পারেনি। এবার গরুটির ওজন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৫ মণ। এবার এর দাম চেয়েছিলাম ২৫ লাখ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাকা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ