Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের শঙ্কার কারণ নেই’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের যারা এখনও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি, তাদের লোকসানের আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ।
তিনি বলেন, যারা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, তারা যদি চামড়াকে সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করেন, তাহলে সেটি দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। এ সময়ের মধ্যে আমাদের ট্যানারির প্রতিনিধিরা সেগুলো ন্যায্য দাম দিয়ে কিনে নেবে। এজন্য তারা যেন তাড়াহুড়ো না করে, সেজন্য অনুরোধ করছি।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর জিগাতলায় বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তাহলে আমাদের প্রতিনিধিরা আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন হাট ও মোকামে গিয়ে চামড়াগুলো সংগ্রহ করবেন। যদি তারা উপযুক্তভাবে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখেন, তবে তারা ন্যায্য দামই পাবেন। তিনি আরও বলেন, চামড়া সংগ্রহে আমাদের এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা প‚রণ হবে। আমরা ৫০ থেকে ৫৫ লাখ গরুর চামড়া এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের সে লক্ষ্যমাত্রা প‚রণ হয়েছে বলে মনে করছি। এছাড়া আমাদের গত বছরের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ চামড়া এখনও অবিক্রিত রয়ে গেছে। সে কারণে ট্যানারিতে চামড়ার চাহিদা একটু কম আছে। তবুও আমরা সব চামড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা পুঁজি সঙ্কটে ভুগছি। আর্থিকভাবে আমরা সরকারি কোনো সাহায্য পাইনি। স্থানান্তরিত ট্যানারিতে আমরা এখনও উপযুক্তভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। যে কারণে এ শিল্পে একধরনের অস্থিরতা রয়েছে। বিসিক এখনও আমাদেরকে উপযুক্ত উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দিতে পারেনি। যে কারণে এ শিল্প ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ৩০ বছরে কাঁচা চামড়ায় ধস নেমেছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বলব, এটা ঠিক নয়। বরং এ ধরনের খরব চাউর হলে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনুরোধ করব, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী যেন আরও অন্তত একমাস কড়াকড়ি আরোপ করে থাকেন, চামড়ার কোনো ট্রাক যেন সীমান্তমুখী না হয়। চামড়া যেন পাচার না হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাজাকাত হারুন, সহ-সভাপতি ইলিয়াসুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাখায়াত উল­্যাহ ও কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যবসায়ী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ