বালুর ট্রাকে অস্ত্র, আটক তিন কক্সবাজার ব্যুরো

কক্সবাজার সদরের নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে বিজিবির অভিযানে বালুবাহী ট্রাকে পাওয়া গেছে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র। এর
নারায়ণগঞ্জ শহরের বরফকল চৌরঙ্গী পার্কের সামনে ফাস্টফুড খেয়ে বিল না দেয়াকে কেন্দ্র করে দোকান মালিকের সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি-এসআইসহ সদস্যদের ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ওই ৮ পুলিশ সদস্যকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করে মাসদাইরে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। তারা হলেন- ডিবির পরিদর্শক মাসুদুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ও এসআই আবু সায়েম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজিজুর রহমান, দেওয়ান তৌফিক, বকুল মিয়া, আমিনুল হক ও কনস্টেবল লুৎফর রহমান। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ওই ঘটনাটি তদন্তের জন্য তাকে প্রধান করে একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যদি ডিবি পুলিশের কোন কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসী পার্কের সামনে মাইলাইফ কেয়ার ফাস্টফুড নামের একটি দোকানে পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে যান ডিএসবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার। এসময় মিল্কসেইক খাওয়ার পরে ওই মিল্কসেইকটি ভাল হয়নি দাবি করে বিল দিতে রাজি হয়নি সে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে সেখানে যান ডিবির এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। তখন তাদের সঙ্গে ফাস্টফুডটির মালিক ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি জালালের ছেলে আলামিন ও রবিন বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বাকবিতন্ডার সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এসময় যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে আসলে ডিবির দুই এএসআই মিলে তাদের স্বামী, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে মারধর করে। এতে করে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই এএসআইকে গণধোলাই দেয়। এসময় খবর পেয়ে ডিবির পরিদর্শক মাসুদ, এসআই মিজান ও এসআই সায়েম ঘটনাস্থলে আসলে লাঠিসোটা দিয়ে তাদেরকেও বেধড়ক পিটুনী দেয়া হয়। পরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে ডিবির এসআই মিজান ও এসআই সায়েম, যুবলীগ নেতা জালাল, ছেলে আলামিন ও রবিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।