Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৬ পিএম

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও টাকার খেলা ও পেশীশক্তি নির্ভর বিদ্যমান গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি করে জোটটি।

বুধবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমরেড সাইফুল হক চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

চার দফা দাবির প্রেক্ষিতে জোটটি দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী আগামী ৩০ আগস্ট ৪টায় মুক্তিভবনের মৈত্রী হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে দাবি দিবস পালন করবে।

এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও বিদ্যমান বির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ ও জেলা পর্যায়ে জেলা নির্বাচন অফিস অভিমুখে বিক্ষোভ, সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসন প্রতিরোধে ও ব্যাংক ডাকাতির লুটপাটের প্রতিবাদে ১১ অক্টোবর সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ এবং অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জোটের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবি আদায়ে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস জুড়ে দেশব্যাপী জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী সাইফুল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটি সুষ্ঠ হয়নি। বিতর্কিত ইভিএম ব্যবস্থাসহ আরপিওতে আরো অগণতান্ত্রিক সংশোধনী আনার পাঁয়তারা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই, আরপিওর অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল করা যেখানে দেশবাসীর দাবি, সেখানে উল্টো আরপিওতে নতুন অগণতান্ত্রিক ধারার সংযুক্তি কোনোভাবেই আমরা বরদাশত করব না। দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের মানুষ কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না যে, শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। যেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে কমিশনে গিয়ে ইভিএম রিজেক্ট করে দিয়েছে সেখানে ইসি সচিব ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। সরকারি দলকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এটা করেছে ইসি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে এক তরফা নির্বাচন করা অতীতের সরকারের মতো এই সরকারও ১৬ আনা দায়ী। অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া এদেশে আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কাজেই তোফায়েল আহমেদ কি বলেছেন তা জানি না। তবে তোফায়েল আহমেদকে বলতে চাই, আপনারা তামাশার নির্বাচন বন্ধ করবেন।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এ নির্বাচন ভালো হয়নি। এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তীতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন করা হবে। কিন্তু গত ৫ বছরেও সেই নির্বাচন হয়নি। তাই এখনো বলছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষর স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ