Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম কাশ্মীরি নারী পাইলট ইরম হাবিব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কাশ্মীরের সংরক্ষণশীল মুসলিম সমাজে বেড়ে ওঠা ইরম হাবিব ছোটবেলা থেকেই সপ্ন দেখতেন নীল আকাশে ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার। বৈমানিক হয়ে উড়োজাহাজ চালিয়ে দেশ বিদেশে ছুটে চলার। ইন্ডিয়ার গো এয়ারে পাইলট হিসেবে যোগদান করার মাধ্যমে ৩০ বছর বয়সে সেই সপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছেন ইরম হাবিব।
একজন সাধারন মুসলিম মেয়ের জন্য বৈমানিক হওয়ার কথা চিন্তা করাও কঠিন। ফলে পাইলট হওয়ার লড়াইটা খুব সহজ ছিল না ইরমের। তাঁর বাবা সরকারি হাসপাতালের সাপ্লায়ার ছিলেন। যার ফলে গতানুগতিক পড়ালেখাতেই মন দিয়েিেছলেন তিনি। ফরেস্ট্রিতে দেরাদুন থেকে স্নাতক শেষ করে ভর্তি হন শের-ই-কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে। সেখান থেকে পাশ করেন স্নাতকোত্তর। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী নিতে যেয়ে সুযোগ এসে যায় সপ্ন পূরণের। তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে একটি পাইলট প্রশিক্ষন কেন্দ্রে এবং ২০১৬ সালে সফলভাবে প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেন। বর্তমানে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দিল্লিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ইরম। কীভাবে লক্ষ্যপূরণ করলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ইরম বলেন, ”একজন মুসলিম মহিলা হয়ে আমি ওড়ার চেষ্টা করছি, এটা দেখে সবাই অবাক হয়ে যেত। তবে আমি নিজের লক্ষ্যে থেকে কখনো সরে যায় নি ।”
ইরাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে প্রশিক্ষণের সময় আমাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। সেখানে ২৬০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা আমার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, সবাই অবাক হন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার সময় একজন কাশ্মীরি নারীকে পাইলট হিসেবে দেখে। কিন্তু সেখানে কোনও বৈষম্য ছিল না। আমি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স পাই। কিন্তু আমি ভারতে কাজ করার জন্য ফিরে আসি এবং ‘ইন্ডিগো অ্যান্ড গোএয়ার’ থেকে চাকরির অফার পাই। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা আমাকে সমর্থন দিলেও আত্মীয় ও বন্ধুরা সবসময় বলতো যে কাশ্মীরের একজন নারী কখনই পাইলটের চাকরি করতে পারবে না। তারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না যে আমি এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি এবং একটি চাকরিও পেয়েছি।
২০১৬ সালে ভূস্বর্গের প্রথম পাইলট হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরী পন্ডিত তনভি রায়না। তাঁর পর ইরমই দ্বিতীয় কাশ্মীরী মহিলা যিনি পাইলট হলেন। গত এপ্রিলে কাশ্মীরের আয়েশা আজিজ দেশের সর্বকনিষ্ঠ ছাত্রী পাইলট হন। সংরক্ষণশীল মুসলিম সমাজ থেকে উঠে এসে ছোটবেলার স্বপ্নকে পুরণ করার জন্য ডক্টরেট করার ইচ্ছে ত্যাগ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারী পাইলট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ