Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইভিএমকে ‘না’

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে পহেলা সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে শরীক দলের নেতারা বলেছেন, ‘হঠাৎ করে নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বিতর্কের সৃষ্টি করবে। ডিজিটাল এই পদ্ধতির ব্যবহারে ইসির পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। এখন ইভিএমে ভোট গ্রহণ করতে গেলে জটিলতার সৃষ্টি হবে; যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে।
তবে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে’। বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেছেন ‘আমরা মনে করি জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পরীক্ষামূলক ব্যবহার হতে পারে বৃহৎ পরিসরে নয়’। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কামরুল আহসান বলেছেন, ‘কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে’। মেননের দল প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে ‘ঘোড়ার আগেই গাড়ি’ জুড়ে দেয়ার সঙ্গে তুলনা করে বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করে অংশিজন তথা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেয়। গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ ইসি’র প্রতি একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ওপর ইভিএম চাপিয়ে না দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘ইভিএমে জনগণের বিশ্বাস নেই। আমাদের মানুষ তো টিপসই দিতে পারে না, ইভিএমে টিপ দেবে কীভাবে? বর্তমান সরকারের সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও ইসির হঠাৎ একশ সংসদীয় আসনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার জন্য ইসির প্রতি আহবান জানাচ্ছেন। টিভির টকশো, পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখে তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন। ৮ দলীয় বাম জোটের নেতারা ইভিএমের বিরুদ্ধে রাজপথে কর্মসূচি পালন করছেন। তারা এটাকে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা হিসেবে অবিহিত করছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিলেও তারা বলছেন, এটা ইসি’র এখতিয়ার আমাদের করার কিছু নেই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জোর করে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এতো গেল ক্ষমতাসীনদের কথা। ক্ষমতার বাইরের সব রাজনৈতিক দল, মত, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগের তল্পি¦বাহক হিসেবে অবিহিত করে ইভিএম থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন। সর্বত্রই আওয়াজ উঠেছে ‘ইভিএমকে না বলো’। তড়িঘড়ি করে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নানা কথা হচ্ছে তর্ক-বিতর্ক চলছে। বিএনপি ইভিএমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শুধু বিএনপি নয়, বি চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুল রব, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, চরমোনাই পীর থেকে শুরু করে সব দলই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সারাদেশ ঘুরে ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
দুই মাস পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন শেষ সময়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং  মেশিন-ইভিএমের বিষয়টি সামনে এনে নতুন বিতর্ক তৈরি করছে। যদিও বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিকেরা বলছে, এ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইভিএম ব্যবহার বিতর্ক সৃষ্টি করবে। এছাড়া সরকারের আর এক শরিক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও মনে করে, জনগণের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর দুই মাস আগে নির্বাচন কমিশন যখন সব প্রস্ততি গুছিয়ে আনছে, তখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে আইন সংস্কারের উদ্যোগে ভিন্নমত পোষণ করেছেন খোদ একজন নির্বাচন কমিশনার।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে কমিশন সভা শুরুর আধা ঘণ্টার মাথায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করে বেরিয়ে আসেন এবং পরে কর্মচারীর মাধ্যমে  নোট অব ডিসেন্ট পাঠিয়ে দেন। তিনি লিখেছেন, আমি মনে করি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ সমর্থন করি না। ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করে  নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করছি। স্থানীয় নির্বাচনে ধীরে ধীরে ইভিএমের ব্যবহার করা যেতে পারে।
এদিকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব পাঠানোর আগেই ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকায় দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প হাতে নেয় ইসি। তবে তড়িঘড়ি করে নেওয়া এই প্রকল্প প্রস্তাবের সম্ভাব্যতাও যাচাই করা হয়নি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় তাদের মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য ভোটকক্ষ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার। সব আসনে ইভিএমে ভোট নিতে হলে ২ লাখ ৬৪ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে (প্রত্যেক কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত ইভিএমসহ)। আর যদি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ১ লাখ ৩২ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএম কেনা ও অল্প সময়ের মধ্যে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে খোদ ইসিতেই প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে অনেক  দেশ ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে আসছে। এ অবস্থায়  কেন ইভিএম ব্যবহারের  তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিএনপি সন্দেহ করছে, মানুষ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বুঝতে পেরে যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দীন খান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি আছে। শেষ সময়ে এসে ইভিএম নিয়ে তোড়জোড় এবং আইন (আরপিও) সংশোধন মনে হচ্ছে এটা উদ্দেশ্যমূলক। আগে ইভিএম নিয়ে সবার অনীহা দূর করে আস্থা তৈরি করতে হবে, সব দলের ঐকমত্য থাকতে হবে। এখনই বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের অল্প সময় বাকি। এর মধ্যে এতগুলো ইভিএম কেনা, আইন সংশোধনের উদ্যোগে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার ভালো। তার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভোটারদের ইভিএমের ব্যবহার শেখানো এবং জনগণকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা জরুরি। এ নিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এসব করতে অনেক সময় লাগবে।
হঠাৎ তোড়জোড়
গত বছরের জুলাইয়ে ঘোষিত ইসির কর্মপরিকল্পনায় (রোডম্যাপ) বলা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে আসা বিভিন্ন সুপারিশের আলোকে এই আইন সংস্কারের কথা ছিল। এ জন্য গঠিত ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি আরপিওর ৩৫টি ধারায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে নির্বাচন কমিশন এ প্রস্তাব আরও পর্যালোচনার জন্য ফেরত পাঠায়। তারপর ওই উদ্যোগ থমকে যায়। গত ১৫ জুলাই ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, আরপিও সংশোধনের একটা উদ্যোগ আগে নেওয়া হয়েছিল। তবে  সেটা এখন আর হচ্ছে না। ইসি সচিবের ওই বক্তব্যের এক মাসের মাথায় ইসি আবার আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ নিয়ে ২৬ আগস্ট একটি বৈঠক করে ইসি। ওই বৈঠক ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা ইসির নেই। এর আগে ইসির সিদ্ধান্ত ছিল যেকোনো একটি পৌরসভার সবগুলো  কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরপর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো হবে।  প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার বাইরে অন্তত তিনজন করে কারিগরি কর্মকর্তা রাখতে হয়েছে। তারপরও কয়েকটি জায়গায় কারিগরি ত্রুটির কারণে ভোট গ্রহণে সমস্যা হয়েছে। অনেক ভোটার এতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি।
পক্ষে-বিপক্ষে মত
গত বছর অংশীজনদের সঙ্গে ইসির সংলাপে আলোচিত বিষয় ছিল ইভিএম। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছিল। ২৩টি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছিল। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১২টি দল ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দেয়। অবশ্য ইসির সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল ইভিএমের পক্ষে, তিন দল পরীক্ষামূলক ও আংশিকভাবে এবং একটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছিল।
এরশাদের সংশয়
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ইভিএমের ব্যাপারে জনমনে অনেক সন্দেহ রয়েছে। তাই এই ভোটিং পদ্ধতি চালুর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তা না করে ইভিএম জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এরশাদ বলেন, ‘আমাদের মানুষ তো টিপসই দিতে পারে না, ইভিএমে টিপ দেবে কীভাবে? এতগুলো আসনে যদি একসঙ্গে ইভিএম হয়, তবে তার সফলতা নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই।
১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম
গত শনিবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ের ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা বা না করার বিষয়টি ইসির এখতিয়ার। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল পাওয়া গেছে।
 মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি
১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছিল। জনগণও সেভাবে প্রস্তুত নয়। এ কারণেই নির্বাচন কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ  ঘোড়ার আগেই গাড়ি’ জুড়ে  দেওয়ার শামিল। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এমনকি নির্বাচনকে বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র রয়েছে, এ ধরনের উদ্যোগ তাকেই শক্তিশালী করবে।
বাম জোটের দাবি
 শনিবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বামজোট জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, দলনিরপেক্ষ নির্বাচন তদারকি সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি না মেনে ইভিএম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব গ্রহণ করে নির্বাচনী পরিবেশকে জটিল করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ না করে উল্টো ইভিএম ব্যবহারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



 

Show all comments
  • ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ২:২২ এএম says : 0
    E v m get out
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইভিএম

৩ অক্টোবর, ২০২২
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ