পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
১০০ কোটি টাকার তহবিল থাকলেও ব্যাংকের অনীহার কারণে ঋণসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে এই ঋণ পাওয়ার কথা শারীরিকভাবে অক্ষম উদ্যোক্তাদের। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, কোনো প্রতিবন্ধী এই তহবিল থেকে ঋণ নেয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবন্ধীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ফান্ড’-এর নীতিমালায় পরিবর্তন এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে তিন বছর আগে। ওই সার্কুলারে প্রতিবন্ধীদের ঋণ দেওয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধীরা এই তহবিল থেকে মাত্র ১০ শতাংশ (ব্যাংক রেটের সঙ্গে পাঁচ শতাংশ) সুদ হারে ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তবে এ উদ্যোগের তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঋণ নেননি কোনো প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা। এমনকি ঋণের জন্য আবেদনও করেননি কেউ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করছে বি-স্ক্যান নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সালমা ইয়াসমিন বলেন, আমরা জানি না এমন একটি সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই এমন ঋণসুবিধা পেলে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। আবার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিকল্পভাবে সক্ষম এই জনগোষ্ঠীর জন্য কমর্সংস্থান সৃষ্টি করা যায়।
এদিকে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণেই এই তহবিলের সুবিধা নিতে পারছেন না প্রতিবন্ধীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।