Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরিবেশ সুরক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


প্যারিস জলবায়ু চুক্তি-২০১৫ সম্পাদনের পর চার বছর চলছে। ইতোমধ্যে বহু দেশ চুক্তির অনেক শর্ত বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে। তবুও বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাস পাচ্ছে না। দিন দিন বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নানা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন মতে, ‘বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই দূষিত বায়ু নিতে বাধ্য হয়। এ কারণে বছরে ৭০ লাখ মানুষ দূষণের শিকার হয়ে নানা রোগে মারা যায়।’ অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তত ৮০ কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কয়েক দশকের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে সবচেয়ে বেশি। নেমে যেতে পারে জীবনযাত্রার মানও। এই ক্ষতি ভারতে সব থেকে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া›স হট-স্পটস› শীর্ষক প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোকে হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েক কোটি মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে। যার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ১৩ কোটি মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ভারত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর দেশ ভারতে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সমানভাবে ভোগাবে। ভারতের পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ফাইয়াজ এ. খুদসার বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। পরিবেশ নিয়ে আমরা অনেক তথ্যই পাই, কিন্তু তা কাজে লাগাই না। ফলে ভবিষ্যতে পরিণতি ভোগ করতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নজর দেয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা নিয়েও ভাবা চাই। এর জন্য প্রথমত গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।’ গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সাথে এরইমধ্যে পানির সংকট দেখা দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন সমস্যা আগামীতে প্রকট হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। ব্রাজিলের একটি গবেষণা ইনস্টিউট জানিয়েছে, গত এক দশকে আমাজনের একটি শহরের কয়েকটি অংশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। পারা রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, রাজ্যের রাজধানী বেলেমের মধ্যাঞ্চলীয় অংশের তাপমাত্রা ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে গড়ে ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে বলে জানান। তারা, দ্রুত বন উজাড় এবং ব্যাপকভাবে উঁচু দালানের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শহরের কেন্দ্রভাগে তাপ আটকে পড়াই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বলে ধারণা করছেন। প্রকৃতির জন্য বৈশ্বিক তহবিল নামক সংস্থাটি, বন উজাড় অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পুরো আমাজন অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে সতর্কতা উচ্চারণ করে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় অবিলম্বে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে যথেষ্ট নাও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি এ সংক্রান্ত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই শিল্প-পূর্ব পর্যায়ের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বিজ্ঞানীরা যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, দুই ডিগ্রি বা অধিক বৃদ্ধির ফলে তা আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলিয়ে দিতে পারে। তারা অনুমান করছেন যে, এর ফলে সাগরের উচ্চতা ৬০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই তাপমাত্রা অতিক্রম করলে তা উত্তপ্ত ধরণীর অব্যাহত উষ্ণায়নের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক তাপদাহে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়েছে। ঐসব অঞ্চলে গ্রীষ্মের দাপট এতটাই বেড়েছে যে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে (জাপানে ৪০.৫, গ্রিসে ৪৬ ও পর্তুগালে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাবৃদ্ধির কারণেই এই তাপদাহ সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যাপক চিৎকার শুরু হয়েছে বিশ্বময়। প্রবল দাবি উঠেছে: তাপমাত্রা কমাও, বিশ্ব বাঁচাও। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প জ্বালানি তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এটা বিশ্ববাসীর জন্য মহা-কল্যাণকর। তাই এই ব্যবস্থাকে শতভাগ করা প্রয়োজন বিশ্বব্যাপীই এবং তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই। দ্বিতীয়ত: বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারই দায়ী নয়। সেই সাথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য যে প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল দরকার, তা নেই। যেমন: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রতিটি দেশের মোট আয়তনের কমপক্ষে ২৫% ‘বনাঞ্চল’ থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাস্তবিকভাবে তার অর্ধেকও নেই বেশিরভাগ দেশে। তাই বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। যাতে পরিবেশ ধ্বংস হয়ে মারাত্মক অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল গড়ে তোলা অপরিহার্য- সারা দুনিয়ায়। তার মহাপরিকল্পণাও গ্রহণ করা হয়েছে ইতোমধ্যেই। এ ব্যাপারে জুলাই মাসে ‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’-এ প্রকাশ, ‘খাইবার পাখতুনখা প্রদেশে সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমিতে ১০০ কোটি গাছ লাগাচ্ছে পাকিস্তান। বন্যা প্রতিরোধ, পরিবেশ-দূষণ থেকে বাঁচতে এবং বন পুনরুদ্ধার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ ধরনের ব্যাপক-ভিত্তিক বৃক্ষরোপণ অভিযানে অনেকটাই এগিয়ে গেছে দেশটি। এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘বিলিয়ন ট্রি সুনামি’, যেটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান খান (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী)। বিশ্বে বন পুনরুদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চলছে, পাকিস্তানে এ ধরনের বৃক্ষরোপণ তারই অংশ। ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে ১৫০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি পুনরুদ্ধারে এ ধরনের কর্মসূচি ২০টি দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিশ্বে ১৫ ভাগ দূষণের জন্য দায়ী বনভূমি আশঙ্কাজনকহারে কমে যাওয়া। ইমরান খান বলেন, ‘একটি গাছ লাগালে তা নদীর তীর সংরক্ষণে সাহায্য করে। বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে, যার কিছুটা হলেও লাঘব হবে পাকিস্তানে এ ধরনের বৃক্ষরোপণ অভিযানের মধ্য দিয়ে। এ ধরনের কর্মসূচি আরও ছড়িয়ে পড়লে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, পোকামাকড়, জনবসতির জন্য তা সহায়ক হয়ে উঠবে।’ বাংলাদেশেও এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সারা দেশে একযোগে ৩০ লাখ চারা গাছ রোপণ করার কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে গত ১৮ জুলাই। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ফলদ, ভেষজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। এছাড়া, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ গত ৬ আগস্ট জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০১৮ এর অংশ হিসেবে ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় ‘রাধাচূড়া’ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০১৮ উদ্বোধন করেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ন্যায় বিশ্বব্যাপীই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক অবিলম্বে। অর্থাৎ বিশ্বের সর্বত্রই ব্যাপকহারে বৃক্ষ রোপণ অভিযান শুরু করা দরকার।
স্মরণীয় যে, বৃক্ষ শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষার জন্যই সহায়ক নয়। এর আরও অনেক কল্যাণকর দিকও রয়েছে। যার অন্যতম হচ্ছে: মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য- ফল উৎপাদন হয় বৃক্ষে। তাই বৃক্ষ রোপণ অভিযানকালে বেশি পরিমাণে ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা দরকার। এছাড়া, বৃক্ষ থেকে ব্যাধি নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ-চীন, তার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেষজ নির্ভর- আধুনিক যুগেও। এছাড়া, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ ভারত, ভারও চিকিৎসার বিরাট অংশ ভেষজ ভিত্তিক। উপরন্তু বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশেও ভেষজ চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বৃক্ষ হতে মূল্যবান কাঠ উৎপাদন হয়, যা জ্বালানি ও আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাই অধিক কাঠ হয়, এমন বৃক্ষ রোপণের দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বৃক্ষ রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, জ্বলোচ্ছাস, নদী ভাঙ্গন, বিদ্যুৎ চমকানো ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। তাই এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত বৃক্ষ রোপণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের উপকূলে ‘সামাজিক বনাঞ্চল’ সৃষ্টি ব্যাপক কল্যাণকর হয়েছে। এতে করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস পেয়েছে। উপরন্তু গরিব মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এ ব্যাপারে কিছুদিন আগে এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিকল্প নেই বনায়নের। আর সমাজের অসচ্ছল অংশের মানুষের কাছে অর্থসহায়তার বিকল্প নেই। এ দুই অবিকল্পের সংযোগে সুফল মিলছে সামাজিক বনায়নে। চট্টগ্রাম জেলায় গত নয় বছরে ১৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও উপকূলীয় বন বিভাগ। এ সামাজিক বনায়নের ফলে উপকারভোগীদের প্রায় ২১ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে চট্টগ্রামের তিন বন বিভাগ। অর্থপ্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের আগ্রহ বেড়েছে সামাজিক বনায়নে।’ তাই এই ব্যাবস্থা সব দেশেই করা দরকার। উল্লেখ্য যে, বৃক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সা¤প্রতিককালে নবতর কিছু পন্থা আবিষ্কার হয়েছে। যেমন: বৃক্ষ দালান, ছাদ বাগান, ভাসমান বাগান ইত্যাদি। চীনে বৃক্ষ দালান ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ দালানের চারিদিকে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে সেখানে। ফলে দেশটিতে পরিবেশের উন্নতি ঘটছে। একই লক্ষ্যে ভারতে ছাদ বাগান ও ভাসমান বাগান ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছাদ বাগান বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ব্যবস্থা সব দেশেই চালু করা দরকার। মোট কথা, বৃক্ষ রোপণ অভিযান সফল করার জন্য যেখানেই ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।
বৃক্ষ রোপণের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কর্মসংস্থান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কর্মসংস্থান ক্রমান্বয়ে সংকোচিত হয়ে আসছে বিশ্বময়। ফলে নতুন এক মহা সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সারা দুনিয়ায়। এই অবস্থায় বৃক্ষ রোপণ বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। বৃক্ষ রোপণ, এর পরিচর্যা এবং এর ব্যবহার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই সমগ্র বিশ্বে সমস্বরে আওয়াজ তোলা আবশ্যক- গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান এবং তা করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। সর্বোপরি বাংলাদেশসহ সব দেশের বনাঞ্চল দখল রোধ, দখলী স্থান উদ্ধার এবং বনাঞ্চলে প্রয়োজনীয় বৃক্ষ রোপণ ও বৃক্ষ নিধন বন্ধ করার জন্য কঠোর পন্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট



 

Show all comments
  • অর্ণব ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৮:০২ পিএম says : 0
    বেশি বেশি গাছ লাগান মানব সভ্যতা বাচান ।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ


আরও
আরও পড়ুন