Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জোর করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয় : শামসুল হুদা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিন) জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, ইভিএমের জন্য তাড়াহুড়ার কিছু নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে এটি ব্যবহার করে সবার মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করার পর জাতীয় নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে ফোরাম অব ইলেশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) নবম সম্মেলন চলাকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুল হুদা বলেন, আমরা ইভিএম চালু করেছিলাম, কিন্তু তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়নি। আমাদের পরের কমিশন এটাকে কোলস্টোরেজের মধ্যে ফেলে রাখলো। আবার এই কমিশন চালু করেছে। আমরা যেটা শুরু করেছিলাম তার ধারবাহিকতা রাখা হলে এখন কোনও অসুবিধা হতো না। ওই সময় চালু হওয়া ইভিএমের ধারাবাহিকতা থাকলে আজ বিতর্কের জন্ম হতো না।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম বিতর্কের প্রশ্নে সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন ইভিএম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, এটা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিলো। আমরা বলেছিলাম, আমরা ঝট করে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে যাবো না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটা আমরা প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। স্থানীয় সরকারের কিছু কিছু জায়গায় এটা করবো এবং আমরা সেটা করেও ছিলাম। মানুষ তাতে ইতিবাচকভাবে সাড়াও দিয়েছিল। ইভিএমের মধ্যে কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে মেশিনটা উদ্ভাবন করা হলো তাতে আরো কী কী নিরাপত্তা সংযুক্ত করা যায়, আরও কীভাবে তা উন্নতি করা যায়, এবং সমস্ত রাজনৈতিক দল যখন বিশ্বাস আনবে, সবাই যখন বলবে ঠিক আছে, তখনই জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার করা উচিত।
তিনি বলেন, ইভিএম কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তাড়াহুড়ার কি আছে? এখনও এটি পুরোপুরিভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আরও ব্যবহার করা উচিত। তারপর সেটা মনিটর করে, তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে কী হয়েছে, কী সুবিধা-অসুবিধা, যাচাইবাছাই করে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘঠিয়ে কারিগরি ব্যবস্থাপনার আরও উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন সফলতা আসবে তখনই জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার হবে।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য হঠাৎ আরপিও সংশোধন প্রশ্নে সাবেক সিইসি বলেন, যেকোনও উদ্যোগ নেওয়ার আগে তা যথোপযুক্ত কিনা, দেখা উচিত। যারা এটা করছেন এবং যারা ক্ষমতায় আছেন বিষয়টি তাদেরই দেখা উচিত ছিল। নির্বাচন প্রতিযোগিতার বিষয়। ক্ষমতা দখলের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ‘রুলস অব দ্য গেম’, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এগুলো নিশ্চিত না করলে তো খেলা সমান হবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব মূলত সরকারের। সরকারই এটা করবে। তারা না করতে পারলে এটা অবশ্যই অসুবিধার কথা। কী করলে জনগণ আস্থা অর্জন করতে পারে, সরকারকেই সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ