Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও সম্ভাবনা

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারিখটি হতে পারে ২৭ কিংবা ২৮। নির্বাচন কমিশন সূত্র এবং গণমাধ্যমের খবরে এমনটিই আভাস পাওয়া গেছে। এ মুহূর্তে দেশের সর্বত্র প্রধান আলোচ্য বিষয় একাদশ সংসদ নির্বাচন। আর অনুষ্ঠেয় সে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। যুগপৎ দেখা দিয়েছে আশঙ্কা ও সম্ভাবনা। কেউ কেউ বলছেন, যথাসময়েই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর কেউ কেউ প্রকাশ করছেন সংশয়। সব মিলিয়ে যে প্রশ্নটি এখন গুরুতর হয়ে দেখা দিয়েছে তাহলো, নির্বাচন সময় মতো হবে কীনা, আর না হলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। 

নতুন করে বলার দরকার পড়ে না যে, নির্বাচন প্রশ্নে সরকার এবং তার প্রধান প্রতিপক্ষ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সরকার বলছে, সংবিধানে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং এ বিষয়ে কারো সাথে আলোচনার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তবে তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। গত ১ সেপ্টেম্বর দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বেশ জোরের সঙ্গেই উচ্চারণ করেছেন। তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না, এমনকি দেশে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না। বিএনপির ওই সমাবেশে লোক সমাগম ছিল প্রচুর এবং নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। দীর্ঘদিন পরে বিএনপি সরকার বা সরকারি দলের কোনো রকম বাধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়া একটি সমাবেশ সম্পন্ন করতে পেরেছে। আর নেতাকর্মীরাও অনেকটাই নির্ভয়ে প্রকাশ্যে মিছিলসহ সমাবেশে যোগ দিতে পেরেছে। সঙ্গত কারণেই ওই সমাবেশ বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে ওই সমাবেশে নেতাদের বক্তৃতার ভাষায়।
বিএনপির সমাবেশের পরদিন ছিল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন থেকে ফিরে এসে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘নির্বাচন হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে কীনা- এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই উঠে না। তাদেরকে নির্বাচনে আনতেও যাব না, বাধাও দেব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পর একটি বিষয় আবারো স্পষ্ট হয়ে উঠল যে, বিরোধী দল, বিশেষত বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিকে সরকার আমলে নিচ্ছে না। বিএনপি যদি ২০১৪ সালের মতো পুনরায় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে, সরকার হয়তো আগের মতোই একলা চলো নীতি অবলম্বন করে এগোবে। তবে, তাতে শেষ ফলাফল কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ও বিরোধী দল যদি সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে, তা দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য কতটা শুভ হবে, সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে রাজনৈতিক মেরুকরণ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। ডা. বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম নতুন নির্বাচনী রাজনৈতিক মোর্চা গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ার শ্লোগান তুলে তারা দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার কথা বলছেন। এ জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে প্রবল আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও বিএনপি এতে শামিল হতে পারবে কীনা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা, ‘জাতীয় ঐক্যে’র সংগঠক নেতারা ইতোমধ্যেই বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে তারা জোটে নেবেন না। ফলে বিএনপিকে যদি বি, চৌধুরী-ড.কামালের জোটে যেতে হয়, তাহলে তার দীর্ঘদিনের সাথী জামায়াতে ইসলামীকে পরিত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে বিএনপি তা করবে বলে মনে হয় না। ফলে বি. চৌধুরী-ড.কামালের জোটে বিএনপির সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবানা অত্যন্ত ক্ষীণ। বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করলে বি. চৌধুরী-ড.কামালের নেতৃত্বাধীন জোটের বাংলাদেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব বিস্তারের সক্ষমতা নেই। চলমান রাজনীতির হিসাবের খাতায় কথিত ওই ‘জাতীয় ঐক্যে’র ঘরে ধর্তব্য কোনো অঙ্ক বসানো সম্ভব নয়। যে দলগুলো জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলছে, দেশবাসীর মধ্যে তাদের তেমন কোনো প্রভাব নেই। দলগুলোর তেমন কোনো সাংগঠনিক ভিত্তিও নেই, নেই দেশব্যাপী কোনো কর্মকান্ড। দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা পরিচিত মুখ হলেও জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে এর গতিপ্রবাহ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো শক্তি তাদের নেই। তাদের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ছড়িয়ে দিতে কিংবা বাস্তবায়ন করতে হলে দুই প্রধান দলের যে কোনো একটির আশ্রয় ছাড়া গত্যন্তর নেই।
এদিকে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারো কারো কথায় জনমনে এ শঙ্কা জেগেছে যে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কীনা। নাহলে কী হবে। তারা বলছেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে বলেন, ‘নির্বাচন হবেই, কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না’- তখন এ সন্দেহ সঙ্গত কারণেই দেখা দেয় যে, তাহলে কী নির্বাচন না হওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে? ভেতরে ভেতরে কী ভোট বানচালের চক্রান্ত চলছে? অবশ্য সরকারি দলের কোনো কোনো নেতা ইতোমধ্যে আভিযোগ করেছেন যে, বিএনপি ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। যদিও তাদের এ অভিযোগকে সবাই রাজনৈতিক বেøমগেমের অংশ হিসেবেই ধরে নিয়েছেন। কিন্তু যখন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বাতাসে আবারও ‘ওয়ান-ইলেভেনে’র গন্ধ পান, তখন কেউই বিষয়টিকে হালকাভাবে উড়িয়ে দিতে চান না। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর ইডেন কলেজে শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আবারও ওয়ান-ইলেভেনের মতো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।’ যদিও পরদিন তিনি তার বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বলেছেন, ‘বিএনপি আবারো ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তবে এবার তারা সফল হবে না।’ ঠিক ওবায়দুল কাদেরের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল সিপিবি’র উপদেষ্টা মনঞ্জুরুল আহসান খানের কণ্ঠে। একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্ভবত আর সরকার চালাতে পারবে না, সরকার পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো আরেকটি সরকার আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটি হলে তো আমাদের জন্য আরও খারাপ হবে। তিনি বলেছেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন নাও হতে পারে। আমরা একটি সঙ্কটের দিকে এগোচ্ছি। বলা যায়, সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছি।’
মঞ্জুরুল আহসান খানের মন্তব্য পর্যালোচনার দাবি রাখে। কেননা, তিনি দেশের একজন বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা হেতু বিদ্যমান পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তার আভাস-ইঙ্গিত দিতে পারেন। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তিনি যে অযৌক্তিক কোনো কথা বলেছেন তা-ও নয়। রাজনীতি সচেতন যে কারো মনে এ ধরনের শঙ্কা জাগাটা স্বাভাবিক। অনেকেই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলের মুখোমুখি অবস্থান এবং তৎকারণে সৃষ্ট ডেডলক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কথা এখনো কারো স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। পাশপাশি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ওয়ান-ইলেভেনের গন্ধ পাওয়াকে শুধু রাজনৈতিক মন্তব্য বলে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না। কেননা, তিনি দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা, যে দলটি এখন সরকার চালাচ্ছে। ফলে একেবারে যৌক্তিক কোনো কারণ অনুভব না করেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন তা বলা যাবে না। সুতরাং, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে আবার কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে উপায় কি?
অপরদিকে রাজনৈতিক বিরোধের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। কমিশনের সভায় একজন নির্বাচন কমিশনারের নোট অব ডিসেন্ট দেয়া এবং সভা থেকে ওয়াক আউট সত্তে¡ও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বিএনপিসহ সরকারের বাইরে থাকা প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা যাতে পুনরায় সরকারে ফিরে আসতে পারে, নির্বাচন কমিশন সে উদ্দেশ্যেই হঠাৎ করে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী তার ২ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে ‘তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া যাবে না’ বলে মন্তব্য করায় অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত হয়তো ইভিএম ব্যবহারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে বিরাজমান মতভেদের মধ্যে ইভিএম ঢুকিয়ে তাকে আরো উস্কে দেয়াটা যে শুভবুদ্ধির লক্ষণ নয়, নির্বাচন কমিশন তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে বলে তারা মনে করছেন।
রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন যে, সরকার এবং বিরোধী দল এখন যে অবস্থানে আছে, তা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রে পরমতসহিষ্ণুতা ও সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই। এ কথা সত্যি যে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ তাদের আন্দোলনের দ্বারা দেশে যে ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছিল, বিএনপির পক্ষে হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। তবে, তারা যদি আবারো আন্দোলনে যায়, তাহলে পরিস্থিতি অশান্ত হবে এবং নিবাচনী পরিবেশও আর সুস্থ থাকবে না। সে ক্ষেত্রে সরকার যদি শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমনে প্রবৃত্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর সেটা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্যও শুভকর হবে না।
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। তেমনি আমাদের দেশে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল যখন মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে একচুল না নড়ার ধনুকভাঙ্গা পণ করে, দেশবাসীর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে তখনই। আমাদের রাজনীতিকরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলেও দেশবাসী অতীত ইতিহাসকে অত সহজে ভোলে না। তাই তারা রাজনীতির আকাশের ঈশান কোণে মতবিরোধের কালো মেঘ জমে উঠতে দেখলেই শঙ্কিত হয়ে ওঠে। না জানি আবার কোন দুর্যোগ নেমে আসে তাদের ওপর। তারা মনে করে, রাজনীতি যখন দেশ ও মানুষের জন্য এবং রাজনীতিকরাও সে কথা স্বীকার করেন (অন্তত বক্তৃতা-বিবৃতিতে), তাই তাদের উচিত দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণের ভালোমন্দের কথা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। আর যাই হোক, তাদের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত বা কৃতকর্মের জন্য দেশে আবারো কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক, সেটা নিশ্চয়ই তারা চাইবে না। রাজনীতিকদের কাছে দেশবাসীর এ প্রত্যাশা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন