Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফেরত আসছে না ব্যাংকগুলোর ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা

সংসদে শীর্ষ ঋণ খেলাপীদের তালিকা প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণখেলাপীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জন। আর এসব ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে অনাদায়ী টাকার পরিমান ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রণীত বাজেটের এক চতুর্থাংশেরও বেশি।
জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গতকাল বুধবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম পিনু খানের তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে সংরক্ষিত সর্বশেষ গত জুন মাসের তথ্যানুযায়ী অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকভিত্তিক খেলাপী ঋণের পরিমান ও শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর তালিকাও জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
আবুদল মাল আবদুল মুহিত জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকুলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমান ছিল ৩৬১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমান ৩৬০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক সাহায্যের প্রাপ্তির (ডিসবার্সমেন্ট) পরিমান ছিল ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমান ১৮৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমান ২ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার। অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছেন, কৃষি ঋণের সুদহার ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ৯ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর আগে এটি ১০ শতাংশ ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষকদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ একমাসে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৭৮৩ কোটি টাকা টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
মো. আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষমাত্রা দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এর মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) চলতি বছরের আগষ্ট পর্যন্ত সাত হাজার ৫৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োরগকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পূজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক হাজার ৫৮৮ জনের সার্টিফিকেট কোর্স সমাপ্ত করেছে এবং ২৬০ জনকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ক্যাপিটাল মার্কেট (পিজিডিসিএম) কোর্স পরিচালনা করেছে। মন্ত্রী জানান, পূজিঁবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা প্রথা এবং বিনিয়োগকারীদের সহায়তার উদ্দেশে ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ