Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গায়েবি মামলার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত দেশ

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের অনুগত চিকিৎসক’রা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রথমে শেখ হাসিনাকে রিপোর্ট করবে। তারপরে শেখ হাসিনা যা বলে দিবেন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। বেগম জিয়াকে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ডাক্তারদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন দুরভিসন্ধিমূলক। গতকাল (শনিবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা ও বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে শেখ হাসিনা তাঁকে জেলে অন্তরীণ করে রেখেছেন অন্যায়ভাবে। সরকার তাই তাঁর অসুস্থতাকেও হিংসা চরিতার্থের টার্গেট করেছে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিনা চিকিৎসায় শোচনীয় দূর্দশায় উপনীত করার লক্ষ্যে কৌশলী চক্রান্ত চালাচ্ছে। বেগম জিয়ার পছন্দ মতো চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নেয়ার অধিকার নেই। সরকারই ঠিক করে দিচ্ছে কারা হবেন বেগম জিয়ার চিকিৎসক। তাই সরকার পরিবারসহ জনগণের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এমন চিকিৎসকদের দিয়ে তাঁর মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরিণামদর্শিতার মাশুল একদিন তাদের দিতেই হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্ত আইন পাস হলে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণ করতেই এই আইন করা হচ্ছে। শুধু গণমাধ্যমই নয়, সরকারবিরোধী যেকোন সমালোচনার পায়ে জিঞ্জির পরাতেই এই আইন। যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও উচ্চারণ করতে না পারে। এটি একটি ভয়ঙ্কর কালাকানুন। এই আইনে যেকোন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুচ্ছ অজুহাতে গ্রেফতার করতে পারবে, গণমাধ্যম অফিসে যখন তখন সরকারী আইন প্রয়োকারী সংস্থা হানা দিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ তল্লাশী করতে পারবে, সিজ করতে পারবে, নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে পারবে, এমনকি গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে পারবে। এই আইনে কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে না, অর্থাৎ সরকারের কোন দূর্নীতিই প্রকাশ করা যাবে না। করলে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে অপরাধী হয়ে যাবে।
সরকারি জুলুমে সারাদেশ বিরানভ‚মিতে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা দেশকে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে। একদিকে লাগামহীন গ্রেফতারের উন্মাদনা, অন্যদিকে গায়েবী মামলার জলোচ্ছাসে সারাদেশ প্লাবিত। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা গ্রাম থেকে শহরে ও শহর থেকে বন্দরে ছুটে বেড়াচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া, গ্রাম ও শহর নেতাশুণ্য, কর্মীশুণ্য। তৃণমূলের ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন কমিটিতে সভাপতি থেকে সর্বশেষ সদস্য পর্যন্ত সবার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সাধারণ সমর্থক’রাও এই হামলার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মূলত: ভোটারশুণ্য করার জন্যই অবৈধ সরকার বিএনপি’র ওপর আগাম আক্রমণ শুরু করেছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা যাতে আন্দোলন বা নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্যই এই আগাম অভিযান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।#



 

Show all comments
  • পাবন রহমান ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৩:৫২ এএম says : 0
    দেশ আরও কত কিছুতে প্লাবিত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ