Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঋণের শর্ত কঠিন করল বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঋণের শর্ত কঠিন করেছে বিশ্বব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আইডিএ (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) ঋণের ওপর ১ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদারোপ করা হয়েছে। এতদিন এ ঋণে কোনো সুদ ছিল না। এ সুদের সঙ্গে চলমান সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হবে। সব মিলিয়ে এই ঋণের সুদ হবে দুই শতাংশ। এছাড়া ঋণ পরিশোধের সময় আট বছর কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। পাশাপাশি আগে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ড (রেয়াতকাল) ছিল। এখন সেটি করা হয়েছে ৫ বছর। এসব শর্ত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, তিন বছরের (২০১৫ থেকে ২০১৭) মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় ‘গ্যাপ কান্ট্রি’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। তাই সস্তা ঋণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এটি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনো দেশ এই অবস্থানে থাকলে সস্তা ঋণের সুবিধা আর পায় না।
এদিকে ইআরডি (ইকোনমিক রিলেশন ডিভিশন বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের নতুন শর্ত প্রথম কার্যকর হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাভলিহুডস (সুফল)’ প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই নতুন শর্তে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে নেগোসিয়েশনের (আলোচনা) অনুমতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই নেগোসিয়েশন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গ্যাপ কান্ট্রির অর্থ হচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (আইডিএ) থেকে ঋণ পাওয়ার একটি মাপকাঠি। যখন কোনো দেশ পরপর এক হাজার ১৬৫ ডলার জাতীয় মাথাপিছু আয় অব্যাহত রাখে, তখন সেই দেশ এই গ্যাপ কান্ট্রি হিসেবে বিবেচিত হয়। তখন সার্ভিস চার্জের সঙ্গে সুদের হার যুক্ত হয়। তবে এই সুদ হার অন্য দেশ বা সংস্থার চেয়ে বেশি নয়। এটি প্রতিযোগিতামূলক। আবার এখনও যারা মাথাপিছু আয়ে উন্নতি করতে পারেনি, সেসব দেশ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জেই ঋণ পাবে।
ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ায় গত জুলাই মাস থেকেই অফিসিয়ালি এই সুদহার কার্যকর হয়েছে। তবে প্রাকটিক্যালি প্রয়োগ হচ্ছে এখন। কেননা এর মাঝে নতুন কোনো প্রকল্পের ঋণ নেগোসিয়েশন হয়নি।
সুদ বৃদ্ধি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাড়িয়ে যাচ্ছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। এই সুযোগে উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণের সুদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের পর হয়তো অন্যরাও বাড়াতে চাইবে। এজন্য এখন থেকেই বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে কৌশল গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যদিও ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা বেড়েছে। তারপরও চড়া সুদে ঋণ গ্রহণের সতর্ক হতে হবে। যাতে যে উদ্দেশ্যে এবং যে প্রকল্পে ঋণ নেয়া হয় সেই উদ্দেশ্য যথাযথভাবে পালন হয়। তা না হলে চড়া সুদের ঋণের বোঝা বেড়ে যেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ