Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রহণযোগ্যতার সঙ্কট সৃষ্টি করেছে

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৪২ এএম

নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য বলা হয়। এ থেকেই দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বা আস্থাহীনতার সঙ্কট তৈরি করেছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গতকাল সোমবার টিআইবি কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন ও শুদ্ধাচার শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, যদি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনে আস্থাহীনতা তৈরির জন্য সব রাজনৈতিক দল কমবেশি দায়ী। টিআইবি মনে করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যেহেতু সাংবিধানিকভাবে বাতিল হয়েছে, তাই সাংবিধানিক পন্থায় যেভাবে বৈধ, সেভাবে নির্বাচন করতে হবে। আমরা যদি পৃথিবীর দিকে তাকাই, যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র বিরাজ করছে সেখানে কিন্তু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিরল।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশে যতটা আগ্রহী থাকে, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ইশতেহার বাস্ততবায়নে ততটা আগ্রহী থাকে না। এ সময় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির জন্য টিআইবি ৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৫টি সুপারিশ করে। সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে -সংসদে সরকারি দলের একচ্ছত্র ভূমিকা নিরুৎসাহিত্য করতে দলীয় প্রধান, সরকার প্রধান ও সংসদ নেতা একজন হওয়া উচিত নয়। তিনজন এক ব্যক্তি হলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না। বিরোধীদলকে সংসদীয় কার্যক্রমে আরো বেশি সুযোগ দেওয়া, ডেপুটি স্পিকার বিরোধীদল থেকে নিয়োগ দেওয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ