মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট-নাফটা চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক নেতারা ‘খারাপ চুক্তির চেয়ে কোনও চুক্তি না থাকাই ভাল’- এমন নীতি পরিত্যাগ করে চুক্তি করার দাবি জানাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও দুই পক্ষের মধ্যে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ে বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। আর এ বিষয়ে অনড় অবস্থানে থাকা ট্রুডো বলেছেন, তার লিবারেল সরকার দরকার পড়লে পদত্যাগ করবে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বুধবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজারের সঙ্গে নাফটা চুক্তির বিষয়ে নতুন আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কানাডার অবস্থানের প্রতি অভ্যন্তরীণ সমর্থন থাকলেও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কায় তা কমছে। কানাডা তাদের পণ্যের ৭৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে থাকে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পণ্যের ওপর কর আরোপের হুমকি দিচ্ছেন।
ফ্রিল্যান্ড কানাডার অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার বলেন, ‘আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়া কোনও আলোচনাকারী যদি মনে করে তাকে যেকোনও মূল্যে একটি চুক্তি করতেই হবে, তাহলে ওই চুক্তির জন্য তাকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়।’
তবে কানাডার বিজনেস কাউন্সিলের প্রধান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী জন ম্যানলি বলেন, ‘খারাপ চুক্তির চেয়ে কোনও চুক্তি না হওয়া ভাল’ এমন সাহসী বক্তব্যের দুর্বলতা হলো, একটি খারাপ চুক্তি দর্শকের খুব নজরে থাকে।’ ম্যানলি বলেন, ‘যারা ভাবছেন নাফটা চুক্তির চেয়ে আমরা আরও ভাল কিছু পেতে যাচ্ছি তারা ঘোরের মধ্যে আছেন। আমরা জানি, এটা করাই হচ্ছে কিছু সুবিধা কেড়ে নেওয়ার জন্য।’
ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই নাফটা চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তার অভিযোগ, চুক্তিটির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনগত চাকরি কমে গেছে। বিষয়টিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে তিনি তা বাতিল করে দেবেন বলেও ক্ষমতায় আসার পর থেকে হুমকি দিয়ে আসছেন। গত মাসে তিনি মেক্সিকোর সঙ্গে নাফটা চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। আর পরিষ্কার করে জানিয়েছে, দরকার পড়লে তারা চুক্তিটি থেকে কানাডাকে বাদ দেবে।
কানাডার ডেইরি খাতে উচ্চ করের বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কানাডা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশ থেকে সুবিধা নিয়ে আসছে। আমরা কানাডাকে ভালবাসি কিন্তু তারা এমন অবস্থান নিয়ে আছে যা ভাল নয়।’ মার্কিন আলোচনাকারীরা কানাডার সুরক্ষিত ডেইরি মার্কেটের প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ ওন্টারিও’র মুখ্যমন্ত্রী ডোগ ফোর্ড বুধবার কানাডার আলোচনাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের উদ্বেগের কথা জানাবেন। ওন্টারিও বাণিজ্যমন্ত্রী জিম উইলসন সোমবার বলেন, ‘আপনার সবাই যে গুজবটি শুনছেন আমরাও তা শুনছি। আর তা হলো তারা কোনও চুক্তি চায় না। তাই আমরা সেখানে গিয়ে বলতে চাই, আপনাদের জন্য একটি চুক্তি করা খুবই প্রয়োজন।’
ওন্টারিওতে ভাল করতে না পারলে ২০১৯ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে ট্রুডোর লিবারেল দলের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এদিকে পশ্চিমাঞ্চলের সাসকাটচিওয়ান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী স্কট মোয়েও আলোচনা থেকে বের হয়ে আসার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও খারাপ চুক্তি করতে পারবো না। তবে আমি নিশ্চিত নই কোনও চুক্তি না করেও থাকতে পারবো কিনা।’ সূত্রঃ রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।