Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দিল্লিতে নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যুর পর সৎকার জন্য ৫১ লাখ রুপি চাঁদা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৫ এএম

দিল্লিতে নালা পরিষ্কার করতে নেমে মৃত এক ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে তার ছোট ছেলেটি কাঁদছে - অর্থের অভাবে দেহ সৎকার করা যাচ্ছে না - এমন একটি ছবি টুইটারে ভাইরাল হওয়ার পরে ওই পরিবারের জন্য প্রায় ৫১ লক্ষ রুপি চাঁদা জমা তুলে দিয়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।

ছবিটি তুলেছিলেন দিল্লির একটি পত্রিকার সাংবাদিক, যিনি পেশাগত কারণেই ওই শ্মশানে গিয়েছিলেন। ওই দৃশ্য তাঁকে এতটাই নাড়া দেয়, যে পত্রিকায় ছাপা না হওয়া ছবিটি তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

তবে, ভারতে নালা বা টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রতিবছর মারা যান একশোরও বেশী মানুষ। যদিও প্রায় ২৫ বছর ধরেই ভারতে নালা বা টয়লেট পরিষ্কারের জন্য কাউকে নিয়োগ করা বেআইনী। তবুও সেই কাজটাই করায় বহু ব্যক্তিমালিকানার বাড়ি অথবা সরকারি দপ্তরগুলো।

দিল্লির ভূগর্ভস্থ পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন ২৭ বছরের অনিল। আগে রিকশা চালাতেন। কিছুটা বেশী রোজগারের আশায় নর্দমার পাঁক পরিষ্কারের কাজ নেন বছর পাঁচেক আগে।

রোজই ওইভাবেই ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে নোংরা, পাঁকের মধ্যে নামেন তিনি একটা দড়ির সাহায্যে। কিন্তু গত শুক্রবার দড়িটা ছিঁড়ে তিনি নীচে পড়ে যান। মারা যান সেখানেই।

তার পরিবার দেহ নিয়ে গিয়েছিল শ্মশানে। কিন্তু সৎকারের অর্থ ছিল না। তখনই ওই পরিবারটিকে নিয়ে খবর যোগাড় করতে সেখানে পৌঁছিয়েছিলেন হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার রিপোর্টার শিভ সানি।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, "এই যারা নর্দমা পরিষ্কারের কাজ করেন, তাঁদের নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু খবর হয়েছে আমাদের কাগজে। সেই সূত্রেই ওই পরিবারটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে জানতে পারি যে তারা দেহ নিয়ে শ্মশানে চলে গেছে। আমিও যাই শ্মশানে। পরিবারটিকে কিছু প্রশ্ন করব বলে সবে প্যাড, পেন বার করেছি। হঠাৎ দেখি, একটি বাচ্চা ছেলে মৃতদেহের কাছে গিয়ে মুখ থেকে সাদা চাদরটা সরিয়ে দিল। আর মৃতদেহটার মুখে হাত বোলাতে বোলাতে 'বাবা, বাবা' বলে ডুকরে কেঁদে উঠল।"

সাংবাদিকতার জীবনে অনেক কঠিন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে, কিন্তু এটা দেখে তাঁর নিজের চোখেও জল এসে গিয়েছিল। বেশ কয়েক মিনিট কথা বলতে পারেন নি।

সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টুইটার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ