Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরাইল বসতি সম্প্রসারণ বন্ধে কিছুই করেনি -জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:১৫ পিএম

ইসরাইল গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর মিডলইস্ট মনিটর।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক নিকোলায় মিয়াদেনোভ ইসরাইল-ফিলিস্তিন পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সবক’টি বসতিই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ।
ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরাইল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে নির্মিত বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইসরাইলি বসবাস করে। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে আসছে ইসরাইল।
নিকোলায় মিয়াদেনোভ বলেন, পশ্চিম তীরে প্রায় ২ হাজার ৮০০ বসতি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১১৭টি ফিলিস্তিনি বাড়ি। ফলে ১৪৫ জন ফিলিস্তিনি এখন বাস্তুহারা। এরপর তিনি খান আল আহমার গ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটা একটি ‘আবদ্ধ সামরিক অঞ্চল’ হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় সৃষ্ট মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি জানান, যেকোনও সময় এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোও জানায়, ইসরাইলের এই বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স বলেন, ‘যুক্তরাজ্য এখনও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাসী। জেরুজালেমকে দুই রাষ্ট্রেরই রাজধানী করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ