চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
মুহাররাম হিজরি বছরের প্রথম মাহিনা । পবিত্র কুরআনে কারিমে এ মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা তাওবার ৩৬ নং আয়াতে বর্ণিত যে মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম করা হয়েছে তার মধ্যে মুহাররাম অন্যতম। অনেক কারণে এ মাসটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বয়ং রাসুল সা. নিজে এ মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমযানের পরে সর্বোত্তম রোযা হলো আল্লাহর প্রিয় মুহাররাম মাসের সাওম এবং ফরয নামাজের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের নামায’। অন্যদিকে মানবতার মুক্তির দূত, সকল নবী-রাসুলদের নেতা এবং আমাদের পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ সা. ধরাবাসীর প্রতি তার দায়িত্ব অর্থ্যাৎ মানুষকে শান্তির ধর্ম ইসলামের পথে আহ্বান করার কাজ শুরু করেছিলেন মুহাররাম মাসে। পবিত্র কুরআনে আরবী ১২ মাসের মধ্যে মুহাররাম, রজব, জিলক্বদ ও জিলহজ্জ মাসকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে এবং কুরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা গ্রন্থ অর্থ্যাৎ বিভিন্ন হাদিস শরীফে এ মাসগুলোর স্বতন্ত্র ফযিলত বর্ননা করা হয়েছে। মুহাররাম মাসের ১০ তারিখ গোটা মুসলিম বিশ্বের কাছে পবিত্র ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। আশুরা ও মুহাররাম শব্দদ্বয় শ্রবণের সাথে সাথে আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে এক ভয়ংকর, বীভৎস, নিষ্ঠুর, নির্মম ও ইসলামের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। রাসূলুল্লাহ সা. এর নয়নের পুতুলী, কলিজার টুকরা, খাতুনে জান্নাত নবীনন্দিনী হযরত ফাতেমা রাএর আদরের দুলাল হযরত হোসাইনের কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতের মর্মন্তুদ ঘটনা; যা এ পৃথিবীর এক করুণ ইতিহাস। বিশ্বের সকল মুসলিম নরনারী আজও ধর্মীয় রীতিনীতির মাধ্যমে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করে। হযরত মুহাম্মদ সা. এর ওফাতের মাত্র পঞ্চাশ বছর পর ফোরাতের তীরে কারবালা কংকরময় প্রান্তরে মুহাম্মদ সা. এর অন্যতম প্রিয় দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা.স্ব-পরিবারে তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে মুআবিয়া পুত্র ইয়াজিদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন। এ অধ্যায়কে ইসলামের ইতিহাস আজও বেদনার রক্তদিয়ে লেখা রয়েছে। তবে কারবালার এ করুন ট্রাজেডির পরেই ইসলাম নবরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে বলেই ইসলামী স্কলারদের বিশ্বাস। তাদের মতে ‘কারবালার ত্যাগের পরেই ইসলাম জিন্দা হয়েছে’। কারবালাই মুসলমানদের শিক্ষা দিয়ে গেছে, মর্সিয়া কিংবা ক্রন্দন নয় বরং ত্যাগ চাই। মুসলামানদের কাছে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক গভীর। প্রিয় নবীর অতি আদরের দৌহিত্র হযরত হোসাইন রাফোরাতের উপকূলে ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক আহলে বাইতসহ কারবালার কংকরময় প্রান্তরে শাহাদাতের ঘটনাকেই আমরা মুহাররাম ও আশুরার একমাত্র ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করে থাকি। মূলত আশুরার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের সাথে শুধু কারবালার নিষ্ঠুরতার ঘটনাই জড়িত নয়। বরং কারবালার আহলে বাইতের শাহাদাতের ঘটনা আশুরার শেষ ও চূড়ান্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা মাত্র। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে এ দিনটি নানা কারনে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনটি একটি পবিত্র দিন কেননা এ দিনেই আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম আ.কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ১০ই মুহাররাম আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিনে নবী মুসা আ.’র শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। হযরত নুহ আ.এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিল এবং তিনি জুদি পর্বতশৃঙ্গে নোঙ্গর ফেলেছিলেন এই দিনেই। এই দিনে হযরত দাউদ আ.’র তাওবা কবুল হয়েছিল, নমরুদের কবল থেকে হযরত ঈব্রাহীম আ.উদ্ধার পেয়েছিলেন, হযরত আইয়ুব আ.দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন। এদিনে হযরত ঈসা আ. কে আল্লাহ তায়ালা উর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছিলেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে ‘১০ই মুহাররাম কেয়ামত সংগঠিত হবে’ (আল হাদীস) ।
হিজরি ৬০ সনে পিতার মৃত্যুর পর ইয়াজিদ বিন মুআবিয়া নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে। অথচ ইয়াজিদ প্রকৃত মুসলমান ছিল না বরং মোনফেক ছিল। সে এমনই পথভ্রষ্ট ছিল সে ইসলামে চিরতরে নিষিদ্ধ মধ্যপানকে সে বৈধ ঘোষণা করেছিল। অধিকন্তু সে একই সাথে দুই সহোদরাকে বিবাহ করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসেবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। এ সকল কারণে হযরত হোসাইন রা. শাসক হিসেবে ইয়াজিদকে মান্য করতে অস্বীকৃতি জানান এবং কূফাবাসীর আমন্ত্রন ও ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, উমাইয়াদের শাসনামালে ইসলাম তার মূল গতিপথ হারিয়ে ফেলেছিল। হযরত ইমাম হোসাইন রা. মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় উমর ইবনে সা’দ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারাবালায় প্রবেশ করে। কয়েক ঘন্টা পর ইসলামের জঘন্য দুশমন শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে আবি ওক্কাসের বাহিনীর সাথে যোগ হয়। অবশেষে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। এ যুদ্ধ সত্য এবং মিথ্যার দ্বন্ধের অবসান ঘটানোর সংগ্রাম। কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। এই অসম যুদ্ধে ইমাম হোসাইন রা. এবং তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে ইমাম হোসাইনের কণ্ঠদেশে ছুড়ি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। আর সে বেদনাহত দিনটা ছিল হিজরি ৬১ সালের ১০ই মুহাররাম। (তথ্যসূত্র-উইকিপিডিয়া)
ইহুদীরা আশুরা উপলক্ষে মুহাররম মাসের ১০ তারিখে রোযা রাখে। শিয়া স¤প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে। আশুরা উপলক্ষে ৯ এবং ১০ মুহররম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ মুহররম তারিখ রোযা রাখা সুন্নত। আল্লাহর রাসূল সা. এ তারিখে রোযা পালন করতেন তবে তার সাহাবীদেরকে পালন করতে আদেশ দেন নি। এছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের চেষ্টা করে। মুহাররাম বা আশুরা আজ গোটা মুসলিম বিশ্বে উদাযাপিত হচ্ছে কিন্তু এর মূল শিক্ষা ও তাৎপর্যকে হারিয়ে আজ আমরা এ দিবসটিকে কোন কোন ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে পালন করছি। আজকে আমাদের অবস্থা হয়েছে সমাজ বিজ্ঞানের জনক ইবনে খালদুন উচ্চারিত উক্তির মত। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের যে ঘটনা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে ব্যক্তি যত বেশি মর্যাদসম্পন্ন, সে ঘটনা ও ব্যক্তিত্ব তত বেশি কিংবদন্তি ও রূপকথার আবরণে আচ্ছাদিত এবং তত বেশি ভূল বুঝাবুঝিতে নিমজ্জিত’ ( কিতাবুল হবার মুকাদ্দামায়ে ইবনে খালদুন)। জার্মান কবি গ্যাটে বলেছেন, ‘ইতিহাসের যে ঘটনা ও ব্যক্তিত্ব যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা তত বেশি রুপকথার প্রলেপে আচ্ছাদিত’। তেমনিভাবে আশুরা ও কারবালার ঘটনা নিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন হয়েছে কিংবা আজও হচ্ছে। তাযিমের নামে শিয়া স¤প্রদায় ১০ই মহররমের দিন যা করে তা প্রকৃতপক্ষেই বাড়াবাড়ি। মাত্র একদিনের জন্য শরীরের রক্ত বের করে বাকী দিনগুলোতে আশুরার মহত্ত¡কে ভূলে থাকা ইসলামের আদর্শ হতে পারে না। কারবালার হৃদায়বিদারক ঘটনায় মুসলমানদের জন্য ব্যাপক শিক্ষা রয়েছে। (ক) কারবারার ঘটনা মুসলমানদেরকে মিথ্যার সাথে আপস না করা এবং সত্যের পতাকাকে সমুন্নত রাখার চেতনাকে জাগ্রত রাখার শিক্ষা প্রদান করে। মহানবী সা. এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা. এর আহলে বাইত ফোরাত নদীর উপকূলে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতের ঐতিহাসিক ঘটনার প্রথম শিক্ষা হচ্ছে একজন প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী নিষ্ঠাবান খাঁটি মু’মিন ও মর্দে মুজাহিদ কখনও অন্যায়ের সাথে আপস করে না। প্রিয় নবী সা. এর চিরন্তন বানী, “আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সকল অবস্থায় সত্য কথা বলা আর সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন নির্যাতন ও অপবাদকারীর অপবাদ ও নির্যাতনে ভয় না করা’’। হযরত হোসাইন রা. কারাবালা প্রান্তরে নিজের জীবন ও স্বল্প দুধের শিশু আব্দুল্লাহ (আজগর) কে এবং কিশোর কাসেমসহ ৭২ জন আইলে বাইতের কারবালার কংকরময় প্রান্তরে তাজা খুনে রঞ্জিত করে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ সত্যের পতাকাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে আল্লাহ পরিপূর্ণ দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও রাখার উদ্দেশ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার চেতনার ও প্রেরণাকে চির জাগ্রত রেখে গেছেন। (খ) কারবালার ঘটনা পরিপূর্ণ দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জিহাদের শিক্ষা দেয়। (গ) অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্বে সংগ্রামের চেতনা জাগ্রত করে (ঘ) কারবালার অন্যতম শিক্ষা হল, অসৎ নেতৃত্বের পরিবর্তে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ঈমানের দাবী। হযরত হোসাইন রা. কারবালার নির্মম শাহাদাৎ মূলত অসৎ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিছক রাজনৈতিক আন্দোলন বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আলোচনা নয় বরং প্রতিটি মুসলিম উম্মাহের জন্য ঈমানের অপরিহার্য দাবী, এ সত্যের মহান শিক্ষা ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রেখে গেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপদে আল্লাহর পরিপূর্ণ দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও ঈমানদার, মুত্তাকী, সৎ কর্মশীল ও যোগ্যতম ব্যক্তিদেরকে নিজেদের শাসক ও নেতা হিসাবে নির্বাচিত করা মুসলিম উম্মাহের জন্য নামায ও রোজার মতো ফরযে আইন; এ মহান চেতনা হযরত হোসাইন রা. এবং আহলে বাইত নিজেদের জীবন বিলিয়ে জাগ্রত রেখেছেন। (ঙ) কারবালার ঘটনা জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ, ত্যাগ ও কুরবানীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কবির ভাষায়, ‘ফিরে এলো আজ সেই মুহাররাম মাহিনা/ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না”। (ঙ) কারবালার ঘটনাই প্রকৃত জয়-পরাজয়ের দৃষ্টিভঙ্গির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ৬১ হিজরির ১০ই মুহাররাম কারবালায় ইমাম হোসাইন রা. মুসলিম উম্মাহের কাছে জয় পরাজয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাৎপর্য সম্বলিত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। ইয়াজিদের সেনাবাহিনী যুদ্ধের ময়দানে জয়ী অথচ মু’মিনের হৃদয় রাজ্যে হযরত হোসাইন রা. বিজয়ের মর্যদায় ভুষিত ও অধিষ্ঠিত রয়েছেন। আজকের মুসলিম উম্মাহের মধ্যে হযরত মুয়াবিয়া রাএর সন্তান হওয়া সত্তে¡ও ইয়াজিদ এর নামের সাথে কোন মুসলামনই রাদিআল্লাহু পাঠ করে না। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদকে কেউ রাহমাতুল্লাহ বলে না। অথচ হযরত হোসাইন রা. এর শাহাদাতের আজ প্রায় দেড় হাজার বছর পরেও প্রতিটি মুসলিমের হৃদয় বিগলিত, প্রতিটি নয়ন থেকে অশ্রু নির্গত হয়। প্রতিটি মুখ থেকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু শব্দ উচ্চারিত হয়। ইয়াজিদকে ও আব্দুল্লাহকে প্রতিটি ব্যক্তি ধিক্কার প্রদান করে। মানুষের হৃদয় রাজ্যে যিনি জয়ের আসনে অধিষ্ঠিত হন তিনিই সত্যিকারের বিজয়ী। আল্লাহর পথে জীবন দিয়ে শাহাদাতের মর্যাদ লাভ করে যারা বিনা হিসাবে জান্নাত প্রাপ্তির নিশ্চয়তা লাভ করে তারাই তো সত্যিকারের বিজয়ী। তাদের বিজয়-ই-তো সবচেয়ে বড় বিজয়। প্রকৃতপক্ষে কারবালার এ হৃদয়বিদারক ঘটনা যুগে যুগে মুসলিম উম্মাহের সামনে সত্যের পথে জিহাদের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।