Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুশফিক না ধাওয়ান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

গতবারের মতো এবারও ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এই আসরে ব্যক্তিগত রান আর উইকেটের খাতায় উপরের দিকেই রয়েছে টাইগাররা। আছে জুটি গড়ার দিক থেকেও। ফাইনালের পরই নিশ্চিত করা যাবে এই আসরে কে হলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান আর কে হলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার। আজ দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শিরোপা লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ-ভারত।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আপাতত শীর্ষে ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৪ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩২৭ রান। তাতে দুটি সেঞ্চুরি আছে তার। ১২৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসও আছে ভারতীয় এই ওপেনারের। তালিকায় দুইয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের অন্যতম ভরসা মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই বাংলাদেশি রানমেশিনের নামের পাশে এই আসরে জমা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। আর সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ৯৯ রান।

ধাওয়ান-মুশফিকের মতো চার ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনে আছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি করেছেন ২৬৯ রান। যেখানে তার নামের পাশে একটি সেঞ্চুরি আর দুটি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। চারে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ। এই ওপেনার ৫ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি আর একটি হাফ-সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৬৮ রান। ৫ ম্যাচে ২৬৩ রান নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন আরেক আফগান হাশমতউল্লাহ শহিদি।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এক নম্বরে আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান। ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং ফিগার ৩/৪৬। তবে, রশিদ খানকে টপকে যাবার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। আফগান স্পিনারের থেকে এক ম্যাচ কম খেলা ফিজ নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৪/৪৩।

এই তালিকায় তিনে আছেন ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় এই পেসারের সমান ৭টি করে উইকেট নিয়ে যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছেন ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা, আফগান স্পিনার মুজীব উর রহমান, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব।

উইকেট অনুযায়ী সর্বোচ্চ জুটির দিক থেকেও বাংলাদেশ রয়েছে পাঁচ জায়গায়। ওপেনিং জুটিতে ভারতের রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান করেছিলেন সর্বোচ্চ ২১০ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের ইমাম উল হক এবং বাবর আজম করেছিলেন ১৫৪ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন করেছিলেন ১৩১ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আবারো বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুনের নাম (১৪৪)। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ এবং গুলবাদিন নাইব করেছিলেন ৫০ রান।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের ইমরুল কায়েস এবং মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন ১২৮ রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৬ রান করেছিলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। অষ্টম উইকেট জুটিতে রশিদ খান আর গুলবাদিন নাইব ৯৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন। নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের মুশফিক এবং মুস্তাফিজ করেছিলেন ২৬ রান। আর শেষ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ৩২ রান।

যেভাবে ফাইনালে
বাংলাদেশ
গ্রুপ পর্ব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানে জয়
আফগানিস্তানের কাছে ১৩৬ রানে হার
সুপার ফোর
ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হার
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ রানে জয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ রানে জয়
ভারত
গ্রুপ পর্ব
হংকংয়ের বিপক্ষে ২৬ রানে জয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়
সুপার ফোর
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয়
আফগানিস্তানের সঙ্গে রোমাঞ্চকর ড্র



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ