Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লা বিসিকে আবাসিক স্থাপনা

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুমিল্লা বিসিক-শিল্প নগরীতে প্লট গ্রহিতাদের কেউ কেউ আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে কুমিল্লার বিসিক-শিল্পনগরীতে স্বল্প মূল্যে ও সহজ কিস্তিতে শিল্প-কারখানা করার নামে প্লট বরাদ্ধ নিয়ে লে-আউট প্ল্যান বহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণসহ আবাসিক ব্যবহার না কমায় হুমকির মুখে পড়া ও অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লায় শিল্পের প্রসার ও বেকার সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালের শেষের দিকে নগরীর আশোকতলায় ৫৪ দশমিক ৩৫ একর ভূমিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন-বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিল্প কারখানা করার জন্য ১৪২টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে ১৪৯টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমানে ১৩৫টি চালু অবস্থায় রয়েছে। একটি বাস্তবায়নাধীন এবং ছয়টি রুগ্ন শিল্পের তালিকায় রয়েছে।

কুমিল্লা বিসিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চালু এবং রুগ্ন শিল্পের ইউনিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২৫টির কোনোটি আবাসিক ভবন, কোনোটি শিল্প কারখানা বন্ধ রেখে তাতে ভাড়া বাড়ি ও চাকরিজীবী বা শ্রমজীবী মেস, ভাঙ্গারি দোকান, অটোরিকশা গ্যারেজে পরিণত হয়েছে।

শিল্পকারখানার নামে প্লট নিয়ে তা বাসগৃহে পরিণত করার কারণ উল্লেখ করে সাত বছর আগে বিসিক কুমিল্লা কার্যালয় থেকে প্রায় ২৫ জন প্লট মালিককে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। নোটিশে বলা হয়েছিল, যে সকল শিল্প মালিক শিল্প কারখানায় অবৈধভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন ও বাসা ভাড়া দিয়েছেন তা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিহার করতে হবে। অন্যদিকে যে সকল শিল্প কারখানায় দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত খালি জায়গা পড়ে আছে তা জরুরি ভিত্তিতে সদ্বব্যবহারের পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে কারখানা ভাড়া দিয়ে রেখেছে সেগুলোকেও বিসিকের নিকট থেকে অনুমোদন করে নিতে হবে। শিল্প নগরীর অভ্যন্তরে অবৈধ দোকান ও টি-স্টল সরিয়ে নিতে হবে। নোটিশে আরো উল্লেখ ছিল, যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে রুগ্ন অবস্থায় বন্ধ রয়েছে সেগুলো শীঘ্রই চালু করতে হবে। অথচ গত সাত বছরেও বিসিক কর্তৃপক্ষের ওই নোটিশের কার্যকারিতায় সাফল্য আসেনি। এবছর প্রায় দশটি প্রতিষ্ঠান আবাসিক ব্যবস্থা থেকে সরে আসলেও বাকিগুলো বহাল তবিয়তেই রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন-বিসিক, কুমিল্লার উপ মহা-ব্যবস্থাপক মো. তাজুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা বিসিকের শিল্প ইউনিটে বেশ কিছু আবাসিক প্লট, মেস গড়ে তোলা হয়েছে। আবার লে-আউট প্ল্যান বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এসব বিসিক আইনের পরিপন্থী। কুমিল্লা বিসিকে এ অবস্থা সাত-আট বছর আগ থেকেই শুরু হয়েছে। আমরা এরকম অবৈধ ২২টি ভবন চিহ্নিত করে তাদেরকে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি। এখানকার প্রকৃত শিল্প উদ্যোক্তাদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০টি প্লটের আবাসিক ব্যবস্থা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা বাবর বার বলছি বিসিক রক্ষার জন্য আবাসিক ভবন সরিয়ে নেয়া উচিত। প্লট মালিকদের বিসিকের স্বার্থের কথা ভেবে অন্তত এটা করা উচিত। কেননা এভাবে আবাসিক ভবনের সংখ্যা বা আবাসিক পরিবার দিন দিন বাড়তে থাকলে কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরী হুমকির মুখে পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ