Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম দিনটি তুষার, আরিফুল, সাদমানের

শফিউল ও জুবায়েরের ৫ উইকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। তুষার ইমরান এখন সেই কীর্তিটা নিয়ে যাচ্ছেন বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। গতকাল রাজশাহীতে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ২০তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনেই খুলনার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তুষার। তারপরও অবশ্য তার দল খুলনা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই, অলআউট হয়েছে ২১০ রান। জবাবে ১ উইকেটে ১২২ রান তুলে দিন শেষ করে রাজশাহী।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুলনা জাতীয় দলের একঝাঁক খেলোয়াড় নিয়েও শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে। ১৬ রানের মধ্যেই ফিরে যান রবিউল ইসলাম রবি ও আফিফ হোসেন। ৫৫ রানের মধ্যে নেই ৫ উইকেট। এসময় রাজশাহীর হয়ে মূল ঘাতকের ভূমিকায় ছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। সেখান থেকে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ধস সামলানোর চেষ্টা করেন তুষার। ৪৮ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু সৌম্য ১৩ রানে ফিরিয়ে ৫ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন শফিউল। খানিক বাদে জিয়াউরও ফিরে গেলে দেশড়র মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শিরোপাধারী খুলনা। এরপরই আসে অষ্টম উইকেটে নাহিদকে নিয়ে তুষারের গড়া সর্বোচ্চ ৮৮ রানের জুটি। এই জুটির পথেই ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে দেলোয়ারের বলে আউট হয়ে যান ১০৪ রানে।

জবাবে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমানের ১১৭ রানের জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করে রাজশাহঅ। দিনের শেষ ওভারে শান্তকে ফেরান আফিফ। মিজানুর রহমান অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে, ১ রানে জুনায়েদ সিদ্দিক।

প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ছে রংপুর। শুরুটা আশানুরুপ না হলেও পঞ্চম উইকেটে নাঈম ইসলাম ও আরিফুল হকের ১৯৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় রংপুর। ৫ উইকেটে ৩০০ রান নিয়ে তারা দিন শেষ করেছে। নাঈম ৯২ রান করে আউট হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন আরিফুল।

এদিকে ফতুল্লায় দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকাকে ২৩৮ রানে গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রাম বিভাগ। ২৫ রান তুলতেই তারা হারিয়েছে ২ উইকেট। দুটিই নেন পেসার শাহাদাত হোসেন। আর ঢাকার ইনিংসে তাণ্ডব চালান দুই স্পিনার জুবায়ের হোসেন ও নাঈম হাসান। জুবায়ের ৬১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, নাঈম ৭৪ রানে ৩টি। বাকি দুটি হাসান মাহমুদের।

দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে উতোমধ্যে রানের চূড়ায় উঠে গেছে ঢাকা মেট্রো। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৩২ রান তুলে দিন শেষ করে মেট্রো। দুটি একশ ও একটি পঞ্চাশোর্ধো জুটি উপহার দিয়ে ব্যাক্তিগত ১৫৭ রান করে আউট হন ওপেনার সাদমান ইসলাম। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে এটি তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর-বরিশাল, বগুড়া (১ম স্তর)
রংপুর ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০০/৫ (জাহিদ ৬২, মোসাদ্দেক ৭, মাহমুদুল ৭, নাঈম ৯২, তানবীর ৯, আরিফুল ১১৭*, সাজেদুল ২*; রাব্বি ১/৬১, লিঙ্কন ০/২৪, সালমান ১/২৪, সোহাগ ২/৮৮, মাহমুদ ০/২২, মনির ১/৬১, নুরুজ্জামান ০/১৪, আল আমিন ০/১, রাফসান ০/৪)।

রাজশাহী- খুলনা, রাজশাহী (১ম স্তর)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৫২.৩ ওভারে ২১০ (রবি ৩, এনামুল ২৬, আফিফ ০, তুষার ১০৪, সোহান ৪, মেহেদি ৭, সৌম্য ১৩, জিয়া ১, নাহিদুল ২৬, রাজ্জাক ৪*, আল আমিন ০; শফিউল ৫/৪৩, রেজা ১/৬০, দেলোয়ার ২/৩৩, তাইজুল ০/৩৩, সানজামুল ২/২৫)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৯ ওভারে ১২২/১ (শান্ত ৪৬, মিজানুর ৭৪*, জুনায়েদ ১*; আল আমিন ০/২১, জিয়া ০/২০, রাজ্জাক ০/৪৩, সৌম্য ০/৯, মেহেদি ০/১২, নাহিদুল ০/১২, আফিফ ১/৫)।

সিলেট-ঢাকা মেট্রো, সিলেট (২য় স্তর)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৮৮ ওভারে ৩৩২/৪ (সাদমান ১৫৭, সৈকত ৪২, শামসুর ৩৪, মার্শাল ৫০, মেহরব জুনি. ২৮*, আশরাফুল ১*; আবু জায়েদ ১/৪৬,খালেদ ০/৪৮, এনামুল জুনি. ১/১১৮, এবাদত ০/৪০, শাহানুর ২/৬১, কাপালি ০/১৫)।

ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফতুল্লা (২য় স্তর)
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ২৩৮ (মাজিদ ৩, রনি ৫৯, সাইফ ৩৪, শুভাগত ২৩, তাইবুর ৬৩, নাদিফ ১০, মোশাররফ ২২, শরিফ ৪, অনিক ০, নাজমুল ২, শাহাদত ১; মফিউদ্দিন ০/৩৬, মাহমুদ ২/৩৬, শুক্কুর ০/১৭, নাঈম ৩/৭৪, জুবায়ের ৫/৬১)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৭ ওভারে ২৫/২ (সাদিকুর ২৩*, শুক্কুর ০, মুমিনুল ০, তাসামুল ২*; শাহাদত ২/১৮, শরিফ ০/৭)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ