পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রওশন এরশাদ নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা পেলেন এইচ এম এরশাদ। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে বিরোধী দলীয় নেতা রওশনকে অধিক গুরুত্ব দেয়ায় গতকাল দলের প্রেসিডিয়াম এই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বক্তব্য হলো রওশন এরশাদ নয়, এরশাদই জাতীয় পার্টির সর্বসর্বা। এখন থেকে রওশন এরশাদ আর কোনো সিদ্ধান্ত নিলে দল তা গ্রহণ করবে না।
দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কিত সকল ক্ষেত্রে পার্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক দায়িত্ব পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপর ন্যস্ত থাকবে। এই সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে না জোটগতভাবে নির্বাচন করবে- সে ব্যাপারে পার্টির চেয়ারম্যানই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন দেবার ক্ষেত্রেও পার্টির চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে রওশন এরশাদ ইচ্চামতো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
সভায় আসন্ন নির্বাচনে ৩’শ আসনেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ সফল করার বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকসূত্রে জানাত গেছে, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল মাহমুদ অভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের জোটগত নির্বাচনের পূর্বে আমাদের ছাড় দেয়া আসনে যেনো নৌকার কোনো ডামি বা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত হবার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি মিডিয়ায় রওশন ও এরশাদের বিরোধ নিয়ে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে বলেন, এ দ্ব›দ্ব থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বৈঠকে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রাখতে হবে। একক অথবা জোটগত নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে আসুক না না আসুক আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা তিনশ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিএনপি কি করছে, কি কর্মসূচী দিচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আগামী নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমাদের ভালো ফলাফল আনতে হবে। আগামী ২০ অক্টোবরের পূর্বেই আমরা আওয়ামী লীগের সাথে জোটগত নির্বাচনের আসন বন্টন চূড়ান্ত করতে চাই।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো- চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য- ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম.এ. সাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, মো: আবুল কাশেম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, শেখ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, এ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো: আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মহসিন রশীদ, মশিউর রহমান রাঙা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান খান, আব্দুর রশিদ সরকার, মেজর (অব.) মো: খালেদ আখতার, মুজিবুর রহমান সেন্টসহ প্রেসিডিয়ামের সব সদস্য ও দলের সব এমপি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।