Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রামীণফোন ছাড়তে আগ্রহ বেশি গ্রাহকের

এমএনপি সেবা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

১ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা। এর মাধ্য নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারছেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। অপারেটর বদলের সুযোগ তৈরির প্রথম ৫ দিনেই ৪ হাজার ১৮১ জন গ্রাহক অপারেটর বদল করেছেন। সবচেয়ে বেশি বদল করেছেন গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা। আর অপাটের বদলে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে রবি। গতকাল (মঙ্গলবার) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা যায়।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ১ অক্টোবর থেকে প্রথম পাঁচ দিনে অপারেটর বদল করার জন্য মোট আবেদন এসেছে ১০ হাজার ১২২টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে চার হাজার ১৮১টি এবং বাতিল হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৬২টি। সবচেয়ে বেশি অপারেটর বদল করেছে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা। পাঁচ দিনে গ্রামীণফোনের মোট চার হাজার ৬১৬ জন গ্রাহক অপারেটর বদলের আবেদন করেছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে এক হাজার ৮৩৪টি এবং বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৭৮২টি।
গ্রামীণফোন থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক গিয়েছে রবি আজিয়াটাতে। গ্রামীণফোন থেকে রবিতে মোট আবেদন এসেছে এক হাজার ৭৭০টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে এক হাজার ৩৫৬টি এবং বাতিল হয়েছে ৪১৪টি। গ্রামীণফোন থেকে বাংলালিংকে মোট আবেদন করেছে এক হাজার ২৪১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৪৫০টি এবং বাতিল হয়েছে ৭৯১টি। গ্রামীণফোন থেকে টেলিটকে আবেদন করেছে ৪৪ জন গ্রাহক। এর মধ্যে সফল হয়েছে ২৮টি এবং বাতিল হয়েছে ১৬টি।
সবচেয়ে কম অপারেটর বদল করেছে সরকারি অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকরা। পাঁচ দিনে মোট ৭০৯ জন গ্রাহক অপারেটর বদলের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে ১৩০টি এবং বাতিল হয়েছে ৫৭৯টি। সবচেয়ে বেশি অপারেটর বদলের আবেদন পেয়েছে রবি। পাঁচ দিনে রবির কাছে মোট আবেদন এসেছে পাঁচ হাজার ৮৯১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে দুই হাজার ৩৪১টি এবং বাতিল হয়েছে তিন হাজার ৫৫০টি। রবিতে গ্রামীণফোন থেকে এসেছে এক হাজার ৩৫৬ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে এক হাজার ৯৭৫ জন। বাংলালিংক থেকে এসেছে ৯২৬ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে এক হাজার ২৫৩ জন। টেলিটক থেকে এসেছে ৮২ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে ৩২২ জন। নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের খরচ ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ খরচ হবে ১৫৮ টাকা। একবার অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য অপারেটরে গেলে কমপক্ষে ৯০ দিন থাকতে হবে। প্রতিবার অপারেটর পরিবর্তনের সময় নতুন সিম নিতে হবে।
এমএনপি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ ও স্লোভানিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ‘ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক কনসোর্টিয়াম’। বর্তমানে বিশ্বের ৭২ টি দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২০১১ সাল থেকে, পাকিস্তানে ২০০৭ সাল থেকে এই সেবা চালু রয়েছে।



 

Show all comments
  • AlauddinKhan ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:২৩ এএম says : 0
    গ্রামিনফোনের জন্য এখন বেশিবেশি ওফার দিতে হবে,,,,,, যদি বেশিবেশি ওফার না দেয় তাহলে তাদের গ্রাহক কমে যাবে ,,,,,,,।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণফোন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ