Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফের কুবি বাসে দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ২

প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:০৯ পিএম | আপডেট : ১১:৩৮ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহন করা বিআরটিসির ভাড়াকৃত বাসে ফের দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। রাত প্রায় ১০ টার দিকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এদিকে প্রায় দেড় ঘণ্টার সড়ক অবরোধের ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজটের দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ এবং বাসটির চালক আলাউদ্দিন গুরুত্বর আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস কুমিল্লা শহরের ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গেটে আসলে হঠাৎ সামনের দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল বাসের গতিরোধ করে। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা ২ থেকে ৩ জন বাস ড্রাইভার আলাউদ্দিনের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে বাস থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করতে থাকে। তখন চালককে মারধরের কারণ জানতে চান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ। পরে তারা দ্বীন মোহাম্মদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারধর শুরু করে যাতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশে থেকা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও চাপাতি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং ফের এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।
এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাতে থাকা মুঠোফোন কেড়ে নেয় এবং ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করে দেয়। পরে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা বাসটিও আটকে রাখে।
এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য আশিকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তবে হামলার ঘটনা আশিক অস্বীকার করে বলেন, "আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ঝগড়া হলে তারা মারধর করে। তখন ঘটনা শুনে আমি সেখানে যাই এবং থামানোর চেষ্টা করি।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন, "আমি ঘটনা জানতে পেরে সাথে সাথে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে মামলা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী মামলা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
এদিকে এর আগেও গত ১৩ মে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে কোন কারণ ছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসও ভাংচুর করা হয়। এর কোন বিচার এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদায় করতে পারেনি। ফলে ক্ষোভে ফোঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ