Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার নিয়ে আবেদন খারিজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিতিতে বিচার চালানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজ করেেছন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিভিশন আবেদনটি সরাসরি করে আদেশ দেন। ফলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচার করতে কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
এদিকে কুমিল্লার নাশকতার একটি মামলায় নতুনভাবে আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।
এছাড়াও জামিন বাতিল হবে কি না আদেশের দিন ধার্য করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় স্থগিতের মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল ও এহসানুর রহমান প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আদালত বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। তারপরও আদালত আমাদের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের আদেশ আমরা আশা করিনি। আমাদের আশা ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে জিয়ার মামলাটি নিয়ে তারা গভীরভাবে চিন্তা করবেন। আমরা সেটাও পেলাম না। এখন আমাদের সামনে একটা পথ আছে। সেটা হল আপিল বিভাগ। যেহেতু বিধান রয়েছে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার, আমরা সেটি করব। আশা করব সেখানে ন্যায়বিচার পাব। খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আদেশে আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন তার মানে হল, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। আদালতে হাজির করতে না পারায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করতে সরকারের নির্দেশে আদালত স্থানান্তর করা হয় ওই কারাগারের ভেতরে। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আবেদনে যুক্তি ছিল, খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হননি। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে তার সুস্থতা সবার আগে দেখা উচিত। আর তিনি যেহেতু কারাবন্দি, সেহেতু তার অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচার চালানো যায় না।
কুমিল্লার নাশকতার মামলায় ফের আবেদনের নির্দেশ:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিনের জন্য নতুনভাবে ফের আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশিরউল্লাহ। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কুমিল্লার আদালতে জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা যখন আপিল আবেদন করেন তখন তারা অধস্তন আদালতের আদেশের সার্টিফায়েড কপি সংযুক্ত করেননি। জামিন চেয়ে আপিল আবেদনের সময়ই অধস্তন আদালতের সার্টিফায়েড কপি সংযুক্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা দ্বিতীয় দিন ওই কপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তাই আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাখিল হয়নি বলে আপত্তি রয়েছে। পরে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীকে ডেকে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে পুনরায় সম্পূরক আপিল আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আদেশ দেন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ। এ আদেশের বিরুদ্ধে গত ২ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন কায়সার কামাল।
জামিন বাতিল হবে কি না আদেশ মঙ্গলবার:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক এ আদেশ দেন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল ও রায়ের তারিখ ধার্যের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য আছে। এরপর সানাউল্লা মিয়া বলেন, ম্যাডামের অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে রিভিশন মামলা করেছি তার আদেশের জন্য দিন ধার্য আছে। আমরা মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার ও খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করছি। এসময় মাশাররফ হোসেন কাজল মামলার দিন ধার্যের আবেদন করেন। তিনি বলেন, সব কার্যক্রম শেষ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও জামিন বাতিল এবং রায়ের তারিখ ধার্যের বিষয়ে আদেশের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ