Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্ব ট্রমা দিবস আজ

ট্রমাজনিত প্রাণহানি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আহবান বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বিশ্ব ট্রমা দিবস আজ। সড়কসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতিবছর ১৭ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হলেও বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে এ পর্যন্ত দিবসটি পালন করা হয়নি। চিকিৎসকদের কয়েকটি সংগঠন ও স্বেচ্চাসেবী-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনের মধ্যেই দিবসটি পালন সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এবং পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ আহত হয়।
বাংলাদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কারণে ট্রমার ঘটনা ঘটছে। এ থেকে প্রাণহানিও দিন দিন বাড়ছে। তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ বা অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা সারাদেশে ট্রমা এবং ট্রমাজনিত কারণে প্রাণহানি প্রতিরোধে সরকার-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে এসে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। চলতি বছর শুধু জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে নিহতের সংখ্যা ২৪। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৩ এবং ২০১৬ সালে ১২।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭৪টি। এতে নিহত হয়েছে ১৬৭ জন ও আহত হয়েছে ৩৭৩ জন। গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীতে নিহতের সংখ্যা ৫৮৮। আর এ বছরের জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২ হাজার ৩৪২ জন।
অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক ও বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, এ বছর রাজধানীতে সাত মাসেই যে হারে মানুষ মারা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নিহতের সংখ্যা অন্য যে কোনো বছরের হিসাবকে ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২০০৩ সালের জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হয়, বর্তমানে এ সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। নিহত সংখ্যার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়।
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে কাজ করা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি পাঁচ হাজার ৬৪৫ জনের। যা ২০১৬ সালের তুলনায় দেড় হাজার বেশি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হয় চার হাজার ৯৮৯টি। তাতে নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ৩৯৭ জন। এর আগের বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা চার হাজার ৩১২টি। তাতে নিহত হয় ছয় হাজার ৫৫ জন। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। যাতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২২ দশমিক ০২ শতাংশ।
বাংলাদেশ আর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুযোর্গ-দুর্বিপাকের কারণে ট্রমা এবং এ থেকে প্রাণহানি ঘটে থাকে। এর প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দিবস আজ

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২১ নভেম্বর, ২০২২
১০ নভেম্বর, ২০২২
৪ নভেম্বর, ২০২২
৫ অক্টোবর, ২০২২
৩ অক্টোবর, ২০২২
২৩ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ