Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুটনীতিকদের নজরে ইসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারত অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে 0 নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে আসছে ইইউ পর্যবেক্ষক

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

পৃথিবীর যে কয়টি গণতান্ত্রিক দেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বাংলাদেশ তার অন্যতম। এ জন্যই বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের সজাগদৃষ্টি। তারা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে দেখতে চায় না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির গণতন্ত্র নিয়ে কার্যত মহলটি উদ্বিগ্ন। একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এখন সবার দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে। বিশেষ করে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করা এবং কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনে ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ তাদের উদ্বেগ আরো বেড়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তাদের ‘সন্দেহের পারদ’ ঊর্ধ্বমুখী। সে জন্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং কূটনীতিকদের নজর এখন ইসির দিকে। নির্বাচন নিয়ে ইসির ‘প্রস্তুতি’ এবং ‘কর্মতৎপরতা’ নিয়ে তাদের নজরদারী শুরু হয়ে গেছে। গতকালও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা ইসিতে গিয়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে দাতা সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে তারা যাবতীয় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন; একই সঙ্গে বর্তমান ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়ে ‘নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে’ পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত তাদের অবস্থানের বার্তা জানিয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলো অনেক আগেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের প্রভাবকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। তিন দেশই নির্বাচন ইস্যুতে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কিশোর গোখলে গত এপ্রিল মাসে ঢাকা সফরে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারত চায় বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক। কোনো দল বা ব্যক্তির সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নয়। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত দেখতে চায় বাংলাদেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। গতকালও ঢাকায় কর্মরত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী জোট নিয়ে ভারত কোনো ধরনের মন্তব্য করবে না। রাজধানীর সেতু ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের সহিংসতার প্রত্যাশা করে না ভারত। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল। সে কারণেই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই’। এর দু’দিন আগে ঢাকার একটি নিউজ এজেন্সিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো বলেছেন, ‘চীন বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায়। আমি আশা করি নির্বাচনে সব দল সমান সুযোগ পাবে এবং বাংলাদেশে খুব নির্ঝঞ্ঝাট সাধারণ নির্বাচন হবে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। বাংলাদেশের জনগণের পছন্দকে চীন সম্মান জানাবে। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হবে’। গতকাল নির্বাচন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের ‘বার্তা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বøুম বার্নিকাট। রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাকে জানিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল তার প্রার্থীর সঙ্গে যারা ভোটার তাদের নিরাপত্তা, ভোটারের ভোটাধিকার এবং জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র জানে নির্বাচনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। এটা যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়’। গত কয়েক মাসে ঢাকায় কর্মরত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্বব্যাংক-এডিবি’র প্রতিনিধিরা পৃথক পৃথকভাবে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং নিজেদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে গতকাল আবারও জোরালো অবস্থান তুলে ধরেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটি বলছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাদের দু’জন প্রতিনিধি ঢাকায় আসবেন। তারা দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করে ইসির নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সংস্থার কাছে জমা দেবেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সব বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে ইইউ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে সে ইংগিতও দেয়া হয়। ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংকের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন ব্রিটেন, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী নির্বাচন দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই ইইউ চায় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক; গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ, কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তসহ কিছু কারণে ইসির প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার প্রসঙ্গ তুলে বৈঠকে ইইউ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করে বলে জানান ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির প্রধান রেনজি টেরিংক। তিনি বলেন, অতীতের (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন) নির্বাচনের ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য নির্বাচনের কমিশনেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা চাই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্যমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজারগুলোয় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কম্বোডিয়ার পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়। চলতি বছরের জুলাই মাসে কম্বোডিয়ার নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি, মানবাধিকার এবং বিরোধী দলের বন্দী নেতা কেম সোখার মুক্তির দাবিতে ২৯ জুলাই সময়সীমা বেঁধে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইইউ’র বাজার সুবিধার কারণে গত দুই দশক ধরে বিশ্বের ষষ্ঠ দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ হলো কম্বোডিয়া। দেশটির দেশি পণ্যের প্রবৃদ্ধির হার হলো ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। মূলত দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইইউ ঘোষণা করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও মানবাধিকার সন্তোষজনক না হলে কম্বোডিয়া অগ্রাধিকার বাণিজ্য পরিকল্পনার অধীনে দেশটির ইউরোপের বাজারে সর্বক্ষেত্রে প্রবেশের বিশেষ সুবিধা হারাবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিষয়গুলো স্থগিত রাখা হবে। প্রায় অভিন্ন ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুন সেনের দেহরক্ষী ইউনিটের হিং বুন হেইং এর অধিনায়ককে তার ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা (ইইউ) আহবান জানিয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেছি, ১১৯টি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গ্রুপ রয়েছে। এ ছাড়া বাইরের দেশ থেকে পর্যবেক্ষকেরা আসতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে। তাদের জন্য একটি নীতিমালা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা আমাদের জনবল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশগ্রহণ নিয়ে জানতে চেয়েছেন। সংবিধানের যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সে অনুযায়ী সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের সময় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনবল উপস্থিত থাকবে। তারা ইভিএম নিয়েও কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন।
শুধু নির্বাচন কমিশনে নয়, আসন্ন নির্বাচন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা। সুশীল সমাজ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও বসে পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন। গত ১৪ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্য ইস্যুতে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হলেও নির্বাচন ইস্যু নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়। কূটনীতিকদের জানানো হয়, নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন; সবার অংশগ্রহণে সেই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। সব রাজনৈতিক দল এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশী কূটনীতিকদের জানানো হয়।
গতকাল ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন বহুল আলোচিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য কূটনীতিকদের অবহিত করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছি। ড. কামাল হোসেন ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য তুলে ধরেছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য আন্দোলন ও প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, কাতার, চীন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, জাপান, মরক্কো দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • rasel ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৪৪ এএম says : 0
    EC'r upor vorosa korte parsi na
    Total Reply(0) Reply
  • মিলন ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৪৫ এএম says : 1
    উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্যমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া খুব জরুরী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ