Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিম-সবজির অগ্নিমূল্য

ঢাকা-চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারের চালচিত্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দুই সপ্তাহ আগে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১১০-১৫ টাকয়। এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় গড়ে প্রতি কেজি সবজিতে পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডিমের চাহিদা খুব বেড়েছে। বাজারে ডিমের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, খামারিরা তা সরবরাহ দিয়ে পারছে না। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে তির দফা। এর মধ্যে শেষ দুই সপ্তাহ দাম বৃদ্ধির হার ছিল সব থেকে বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক সপ্তাহ আগেও এসব ব্যবসায়ীরা ৯৫-১০০ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করেছেন।
খুচরা পর্যায়ে মুদিদোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০-১১ টাকায়। আর হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। এসব ব্যবসায়ীরা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১১৫-১২০ টাকায়।
শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাবু বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিমের দাম বাড়তি। কিছুদিন আগেও এক ডজন ডিম ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন এক ডজন ডিম ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাজারে এখন ডিমের অনেক চাহিদা। খামারিরা চাহিদা অনুযায়ী ডিম সরবরাহ করতে পারছেন না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে। তবে দাম বাড়লেও আমাদের বিক্রি কমেনি। আবার লাভও বাড়েনি। কারণ আমাদেরকেও বাড়তি দামে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় প্রতিদিনই ডিমের দাম বাড়ছে। ৯০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম দেখতে দেখতে ১১০ টাকা হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাম বেড়ে কোথায় যেয়ে থামবে ঠিক নেই। এতো বেশি দামে ডিম এর আগে কবে বিক্রি করেছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি পাঁচ বছরের ওপরে ডিমের ব্যবসা করছি। এখন যে দামে ডিম বিক্রি করছি, এতো বেশি দামে এর আগে কখনও বিক্রি করিনি। তবে গত রোজার ঈদের আগে এক ডজন ডিম ১০৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।
এদিকে ডিমের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষেরা। মালিবাগ বাজারে ডিম কিনতে আসা আফজাল বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিমের দাম বাড়ছে। প্রথমে এক ডজনের দাম ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা হলো। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই এখন ১১৫ টাকা ডজন হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে কারও কোনো মনিটরিং নেই। ফলে যে যখন যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের মতো নি¤œ আয়ের মানুষের। দাম বাড়লেও আমাদের কিছু করার নেই। চুপচাপ মেনে নিয়ে বাড়তি দামেই কিনতে হবে।
এদিকে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বেগুনের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রকারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। টমেটো ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, ভেÐি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, সিম ১৪০ টাকা।
কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, আলু ২৮ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি আকারভেদে ৪৫ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা। ধনিয়াপাতা কেজি ১৫০ টাকা, কাচাকলা হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া কচুর ছড়া ৫০ টাকা, লেবু হালি ৩০ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শান্তিরগর বাজারের ব্যবসায়ী আক্কাস মিয়া বলেন, পূজার ছুটির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেলে সবজি নিয়ে ট্রাক আসছে না। তাই পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি। এই কারণে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, কক মুরগি ২১০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পিস। গরুর মাংস ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকারের নির্ধারণ করা দামেই।

 

চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে ১০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক ও সিডিএ। খসড়া এ মহাপরিকল্পনায় দেখানো হয়েছে, নগরীর ৭৫ শতাংশ যাত্রীই গণপরিবহন বা বাস সার্ভিস ব্যবহার করেন বা করতে চান, যদিও বাস সড়কের মাত্র ১৭ শতাংশ ব্যবহার করে। অন্যদিকে প্রাইভেট কার নগরীর মাত্র ৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করলেও সড়কের ২৯ শতাংশ দখল করে থাকে। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৬ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের বিপরীতে ২৭ শতাংশ সড়কজুড়ে বিচরণ করে। গণপরিবহনের ব্যাপক চাহিদা সত্তে¡ও অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেট কার নগরীর মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রীর পরিবহন চাহিদা মিটিয়ে ৫৬ শতাংশ সড়ক দখলে রেখেছে, যা নগরীর আধুনিক ও নির্বিঘœ ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়।
এই প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয় ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন স্থাপনা মহানগরীর সড়কের বিভিন্ন পরিসরকে সঙ্কুচিত করায় যানজট তীব্র হয়েছে এবং পথচারীর সুযোগ সঙ্কুচিত ও সঙ্কটপূর্ণ করা হয়েছে। নগরীর উন্নয়ন বিনিয়োগে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর উন্নয়ন দর্শন অনুসরণ, পথচারী চলাচল ও গণপরিবহনমুখী যাতায়াতে বৃহৎ বিনিয়োগ করা, বিদ্যমান সড়কের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা, নগরকেন্দ্র থেকে বিমানবন্দর যাতায়াতে সাশ্রয়ী বিকল্প ব্যবস্থাসহ ডেডিকেটেড লেইন এবং সব রাস্তায় ফুটপাত সংযোজনের দাবি জানানো হয় ফোরামের পক্ষ থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা-চট্টগ্রাম

২৯ জানুয়ারি, ২০২২
১৯ অক্টোবর, ২০২১
১৮ এপ্রিল, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ