Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার দেশেই তৈরি হবে : আজ চুক্তি হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও চীনের হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি যৌথভাবে মিটার তৈরির কাজ শুরু করবে। এ লক্ষ্যে আজ রোববার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ মূলধনী কোম্পনি গঠনের চুক্তি সই হবে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের জন্য খুলনার সাচিবুনিয়ায় ভাড়া করা ফ্যাক্টরিতেই কার্যক্রম শুর করা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগকে আরও স¤প্রসারিত করে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে মিটার তৈরির কারখানা করা হবে বলে জানা গেছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানুয়ারি থেকেই মিটার উৎপাদন শুরু করতে চাই। এর আগে সব মিটারই আমদানি করা হতো। এখন থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় রাষ্ঠ্রীয় অর্থের সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, এখন ভাড়া করা জমিতে কাজ করছি। ভবিষ্যতে নিজেদের জমিতে ফ্যাক্টারি করবো এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।এখন প্রতি বছর ৫ লাখ মিটার তৈরি হবে, তাদের কারখানাতে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হয়, সারাদেশে মোট বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে মাত্র ১৫ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায়। সরকার বিতরণ কোম্পানিকে যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৭৫ লাখ গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। অর্থাৎ সরকারের পরিকল্পনা সফল করতে হলে ২ বছরে ৫৯ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। এত অল্প সময়ে এত বেশি মানুষের ঘরে ঘরে প্রিপেইড মিটার বসানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়। ওয়েস্টজোন ও হেক্সিং যৌথভাবে যে সমীক্ষা চালিয়েছে, তাতে দেখা যায়, প্রতিটি মিটার আমদানি করতে এখন ব্যয় হচ্ছে সাড়ে চার হাজার টাকা। তা দেশে তৈরি করা হলে প্রতি মিটারের দাম পড়বে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মিটারে সাশ্রয় হবে ৫০০ টাকা। একেবারে নতুন হওয়ায় বাংলাদেশে প্রিপেইড মিটারের বড় বাজার রয়েছে। তিন কোটি গ্রাহক আর চার হাজার টাকা ধরে হিসাব করলেও দেশে প্রিপেইড মিটারের ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। বিপুল সম্ভাবনাময় এই খাতে মিটারের সব যোগানই এত দিন বাইরে থেকে আসতো। এখন এর আংশিক দেশেই উৎপাদিত হবে। অন্য বিতরণ কোম্পানি মিটার উৎপাদনে এগিয়ে এলে দেশেই সব মিটার উৎপাদন সম্ভব। একটি বা দুটি কারখানা করেই দেশে প্রতি বছরের মিটারের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ