পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যথা সময়েই দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে কোন সংশয় নেই। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যে সময় তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দেবে ঠিক সে সময়েই নির্বাচন হবে। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন সঠিক সময় এবং সুষ্ঠু হবে। একই সময়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও মন্ত্রীসভা ছোট করা প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে নিজেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। মন্ত্রিসভা ছোট হলে উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল (সোমবার) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সউদী আরব সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি সউদী আরব সফর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনের আগে আমরা সব দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের আহ্বান সত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি সাড়া দেয়নি। এবার নির্বাচনকালীন সরকার দরকার আছে কিনা, সেটা দেখা যাবে।
নির্বাচনকালীন ছোট মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে বিরোধী দলগুলো চাইলে হবে, না হলে হবে না। তিনি বলেন, এ নিয়ে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর তাছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মন্ত্রী আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাকে যে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভা ছোট করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। বড় থাকলে কি সমস্যা আছে? প্রশ্নকারী সাংবাদিক তখন বলেন, আইনে কোনো সমস্যা নেই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, আইনেও নাই, কোথাও নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছোট মন্ত্রিসভা ও তখনকার বিরোধী দলকে নিয়ে সব দলের সরকার গঠনের কথা বলেছিলাম। তখন খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন। তাকেও আমি আহ্বান করেছিলাম। কারণ তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছিল না। তাদের আনার জন্য আমি বলেছিলাম যে, আসেন আমরা সকলে মিলে একটা সরকার গঠন করি, তাহলে কারও কোনো চিন্তা থাকবে না। যে কোনো মিনিস্ট্রি চাইলে আমি দিতে রাজি ছিলাম। তাদেরকে নিয়ে করতে চেয়েছিলাম। তখন তারা আসল না। বিরোধীদলে অন্য যারা ছিল, তাদেরকে নিয়ে আমি মন্ত্রিসভা গঠন করি। এখন এটা দরকার আছে কিনা সেটা দেখা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আমাদের কিন্তু দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তা সত্তে¡ও যাদের প্রতিনিধিত্ব সংসদে আছে তাদের সবাইকে নিয়েই কিন্তু আমরা মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। সেই মন্ত্রিসভা নিয়েই আমরা চলছি। আগে কিন্তু এটা ছিল না, আগে শুধু আমাদের ছিল। আমি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আপনারা যেভাবে চান, সেভাবে আমরা প্রস্তুত আছি।
তবে প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য ছোট মন্ত্রিসভার সমস্যার কথা তুলে ধরেন বলেন, এখন (মন্ত্রিসভায়) কাটছাঁট করলে তো এক ধরনের সমস্যাই হবে। আমাদের এত প্রজেক্ট আছে। এরই মধ্যে আমরা এত প্রজেক্ট পাস করেছি, সেসব কাজ শেষ করা দরকার। এখন কয়েকটি মন্ত্রণালয় যদি একজনের হাতে দিই তাহলে তিনি পারবেন কিনা, দুই-তিন মাসের মধ্যে আমাদের অনেকগুলো কাজ করতে হবে। এখন কাজগুলো করতে গেলে কাউকে সরিয়ে দিলে কাজগুলো ব্যাহত হবে কিনা, এ সমস্যাটাই রয়ে গেছে। আমি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই এবং সবাই যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে। আমি ওই সব দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তো কোনও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভা পরিবর্তন করে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা আলাপ-আলোচনায় আমি তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা তো বলেছে, তেমনটা করার তো কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই, আমরা যেমন থাকি তেমন থেকেই তো নির্বাচন করি। এখন দেখা যাক কী হয়? যদি ডিমান্ড করে অপজিশন তখন করবো। আর না করলে কিছু করার নেই।
ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের চিরাচরিত বিষয় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কম হয়নি। কিন্তু সবকিছু মোকাবিলা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি তার কারণ জনগণই শক্তি। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আমার আছে। তাই আমার বিশ্বাস, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা সক্ষম হবো।
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা এবং সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যথাসময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকারের কোনও ভূমিকা নাই। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাধীনভাবে। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা সংশয় সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা না থাকে। আরা ধারাবাহিকতা না থাকলে কিছু লোকের সুবিধা হবে। তাই তারা নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করতে চায়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্বাধীনতা আছে, কথা বলার স্বাধীনতা আছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে। ’৭৫-এর পর যা ছিল না বর্তমানে মানুষ সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সেটাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, কারা ঐক্য করেছে তা খেয়াল রাখতে হবে। দেখতে হবে কার কী অঙ্গভঙ্গি, কার কী বাচনভঙ্গি। এদের একজন মেয়েদের প্রতি কী ধরনের কটূক্তি করেছে সেটাও দেখেছেন। ঐক্যফ্রন্টে এ গাছের ছাল, ও গাছের বাকল যোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছে না। খুনি, দুর্নীতিবাজ ও নারী কটূক্তিকারীদের ঐক্য হয়েছে। নতুন জোট সফল হলে অসুবিধা কোথায়? বরং ভালোই হয়েছে সব ধরনের লোক মিলেই একটা জোট হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে বসতে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হবে বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি বা আলোচনায় বসবেন কি না? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি, আগে পাই তারপর দেখা যাবে। ড. কামাল হোসেন কাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সেটা আগে দেখতে হবে। যারা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, যারা এতিমের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত, যারা দন্ডপ্রাপ্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ড. কামাল। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, যারা আগুন দিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারাই এই গ্রুপে রয়েছে। এরা সবাই এক হয়েছে তাদের রাজনীতিটা কোথায়? উল্টো প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। ড. কামাল হোসেন তো সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান তৈরি করেছেন। তিনিই তো ৭২ এর সংবিধান মানেন না।
সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে নালিশ না করতে সরকারবিরোধী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে-সেখানে নালিশ করে কী হবে? যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তারা নালিশ না করে জনগণের কাছে যাক। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর জন্য কম চেষ্টা করেনি। একবার বিদেশি বন্ধু নিয়ে এসেও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি, কাজ করছি, সারাজীবন কাজ করে যাব। বাংলাদেশের জনগণ যদি চাই তাহলে আবারও ক্ষমতায় আসব এবং জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় আসব না। জনগণ যা চাইবে তাই হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সউদী বাদশাহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সউদী বাদশাহ। তিনি বলেন, সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আশা প্রকাশ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে মোট পাঁচটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই সফর বাংলাদেশের স্বার্থে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি বলতে পারেন, কী কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে? যারা অ্যাকসিডেন্টের শিকার হলো, তারা রাস্তার কোথায় ছিল? সেটা একটু আমাকে বলুন প্লিজ। গাড়ি যান্ত্রিক ব্যাপার, এটা এমন না যে, হাত দেখালেই থেমে যেতে পারে। সেটা সম্ভব না। গাড়ি থামাতে একটু সময় লাগে।
শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ধারণা ছিল ওই ঘটনার পর মানুষ একটু সচেতন হবে। কিন্তু মানুষ কি সচেতন হয়েছে? কেন হয়নি, সেটার জবাব দিন। আপনাদের পত্রিকায় ছবি দেখেছি, গাড়ি চলছে, গাড়ির ফাঁক দিয়ে মানুষ বের হচ্ছে। তখন কেউ যদি অ্যাকসিডেন্ট করে মারা যায়, কাকে দোষ দেবেন? ফুটপাত, আন্ডারপাস রয়ে গেছে, ফুটওভারব্রিজ আছে। অথচ মানুষ হাত তুলে দৌড় দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছে। তখন যদি অ্যাকসিডেন্ট হয়, তখন দোষটা কাকে দেবেন? সচেতনতাটা কার দরকার? আমাদের সবার স্বভাব পরিবর্তন করতে হবে।
পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা রাস্তায় চলাফেরা করেন, তারা যদি নিজেরাই সচেতন না হন, তাহলে অ্যাকসিডেন্ট কীভাবে ঠেকাবেন? আমি অনুরোধ করবো, কী কারণে অ্যাকসিডেন্ট হয়, তার কারণটা খুঁজে বের করুন। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যে আন্দোলনটা স্কুল শিক্ষার্থীরা করেছিল, সেখানে কিন্তু ড্রাইভারের দোষ ছিল। শিক্ষার্থীদের ওপর ড্রাইভার গাড়ি তুলে দিয়েছিল। সেটা আমি মানি। কিন্তু এই যে কয়টা অ্যাকসিডেন্ট ঘটেছে, সেসব ঘটনায় পত্রিকায় ছবি দেখেছি, প্রতিটি ঘটনায় রাস্তার মাঝখানে চলন্ত গাড়ির সামনে দৌড় দেওয়া, অথবা রাস্তা পার হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সেখানে কাকে দোষ দেবেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে ৯৪৭টি দুর্ঘটনা ঘটলো, মৃত্যু ঘটলো, সেখানে আপনি দেখুন, পথচারীরা রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলছিল, না ফুটওভারব্রিজ দিয়ে চলছিল?
সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো ড্রাইভারদের দোষ দিয়েই খালাস। পথচারীদেরও সচেতনতা দরকার। শ্রমিক নেতাদের পিটুনি দিলেও পথচারীদের রাস্তায় দৌড় দেওয়া থামানো যাবে না। আগে সেটা থামাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।