Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আশুলিয়ায় গণ্যস্বাস্থ্য ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:০২ পিএম

আশুলিয়ায় গণ্যস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের সাথে মোহাম্মদ আলী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নাছির বাহিনীর সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় স্থানীয় নাছির বাহিনীর লোকজন গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনের অডিউটোরিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় অবহিত করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন গণ্যস্বাস্থ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীল হোসেন।
স্থানীয়রা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার আওয়ামীলীগ নেতা নাছির বাহিনীর লোকজন নিয়ে তাদের গণস্বাসস্থ্যে কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে হামলা চালায়। এসময় আওয়ামীলীগ নেতার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভবনের মুল ফটক ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ দিকে এ ঘটনার পর বিষয়টি আশুলিয়া থানায় অবহিত করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থান নেয়নি। এছাড়াও পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেনি।
এদিকে শুক্রবার দুপুরের দিকে গণস্বাস্থ্যের ফার্মাসিউটিকেলসের সামনে মোহাম্মদ আলীর লোকজনের সাথে গণ্যস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্টাফদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এর কিছু সময় পরই মামলার বাদী নাছিরের পক্ষের প্রায় দুইশত লোকজন গণ্যস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনের ভেতরে হামলা চালায়। এসময় নাছিরের লোকজন ওই ভবনের অডিউটরিয়মের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এসময় তারা ওই ভবনের ভেতর থেকে কম্পিউটার ও মুল্যবান জিনিষপত্র লুটে নেয়।
গণস্বাস্থ্য পিএইচএ’ এর পরিচালক অনিল কুমার ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে মির্জানগর এলাকায় ১৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য পিএইচএ ভবন অবৈধ ভাবে মালিকানা দাবী করে কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড নামের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় বহিরাগতরা। এসময় ভবনে ভাংচুর, মূল্যবান মালামাল লুট, হোস্টেলে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের মারধর ও গাছপালা কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তাদের বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। কিন্তু এব্যাপারে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ।

গণ্যস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, নাছির বাহিনীর লোকজন তাদের মূল ফটক ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এছাড়াও পিএইচএ ভবনে হামলা চালিয়ে সবকিছু ভেঙ্গে এছাড়াও তাদের মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র লুটে নিয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও গণস্বাস্থ্যের বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ঘটনার পর পরই বিষয়টি আশুলিয়া থানায় অবহিত করেন। তবে পুলিশ তাদের কোন সহযোগীতা করেনি। এছাড়াও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ তাদের ভবন পরিদর্শনও করেননি বলে তিনি জানান।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে অভিযোগ আমনে না নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ