Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাসনাবাদ ও ইকুরিয়া থমথমে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা সেতুতে সংঘর্ষ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা সেতু টোল মুক্ত করার দাবীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় সেতুর দক্ষিন প্রান্তের হাসনাবাদ ও একুরিয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত শুক্রবারের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুড়িগঙ্গা সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ পাহাড়ায় যান বাহন চলাচল করছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল সেতু দিয়ে কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে গুলিতে নিহত ট্রাক শ্রমিক সোহেলের শশুর মোঃ মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে সেতুর টোল আদায়কারী কতৃপক্ষ কে আলম শিপিং লিমিটিডের স্বত্বাধিকারী মোঃ খোরশেদ আলমসহ ৫০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করার জন্য আবেদন করলেও গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কোন মামলা গ্রহন করেনি। পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত সোহেলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতেই তার স্বজনেরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিয়ে গেছে। গতকাল সেখানে পারিবারিক খবরস্থানে লাশ দাফন কনরা হয়েছে কবলে জানা গেছে।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ সার্কেল অফিসার রামানন্দ সরকার বলেন, পুলিশের উপর হামলা, হত্যার চেষ্টা ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করবে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ওই এলাকায় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বলেন, সোহেল নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। যারা পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে তাদেরকে চিহ্নীত করে আসামী করা হবে।
বাংলাদেশ ট্্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মকবুল আহমেদ বলেন, একটা মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ফের ঝামেলা হয়েছে। একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। দেশে বিশৃঙ্খলা হলে আমাদের সবার ক্ষতি। সমাধারন হওয়াই ভাল। উল্লেখ্য গত শুক্রবার বাংলাদেশ চীন-মৈত্রি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু টোল মুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনরত পরিবহন চালক শ্রমিকদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় গুলিতে একজন শ্রমিক নিহত হয়। এ সময় গুলিতে আহত হয়েছে আরো শতাধিক শ্রমিক। সংঘর্ষে ওসিসহ ৩০জন পুলিশ আহত ও ব্যাপক গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ