Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লিয়াকত ও আমিনুলের ফাঁসির আদেশ

মানবতাবিরোধী অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের মোঃ লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতিমোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। দুই আসামী গ্রেফতারি পরোয়ানার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। পলাতক দুই আসামির পক্ষে গাজী এমএইচ তামিম।
রায় ঘোষণার শুরুতে চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম শুরুতেই জানিয়ে দেন -এটি ট্রাইব্যুনালের ৩৫তম রায়। পরে ৩১২ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। বিচারপতি আমির হোসেন পড়েন রায়ের দ্বিতীয় অংশ। সর্বশেষে বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম সাজা ঘোষণা করেন।
রায়ের পর প্রসিকিউটর রানাদাস গুপ্ত বলেন, একাত্তরে হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে পলাতক দুই আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় এসেছে আদালতে। রায়ে দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান তা উঠে এসেছে। মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামিরা। তবে সে জন্য তাদের আন্তসমর্পণ করতে হবে।
দন্ডিত দুই আসামির মধ্যে হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী একাত্তরে স্থানীয় রাজাকার কামান্ডার ছিলেন। আর কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ছিলেন ওই এলাকার অল-বদর বাহিনীর নেতা। লিয়াকত আলী ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৬ আগস্ট এ মামলার শুনানি শেষ করে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে সিএভি রাখেন আদালত। ২০১৬ সাল দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানবতাবিরোধী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ