Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘রাজশাহী থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু’

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

হযরত শাহ মখদুম (রহ.)এর পূণ্যভূমি থেকে স্বৈরাচারী অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু হবে। লাখো জনতার সমাবেশের মধ্যদিয়ে শুরু হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন। দেশের অনেক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে রাজশাহীর মাটি থেকে। যার সফল সমাপ্তিও হয়েছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হবেনা।
গতকাল দুপুরে বিএনপি মহানগর কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং মহাসমাবেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু এসব কথা বলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর সেক্রেটারী এড. শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা আব্দুল গোফরান, শামসুদ্দিন পেয়ারা প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, অনেক টাল বাহানা আর ১২ শর্তে অবশেষে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর। বিশেষ করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। তারা সমাবেশের ব্যানার লাগাতে বাধা দিয়েছে এবং খুলে নিয়েছে। আটক করেছে সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর রহমানকে। রাতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। সমাবেশে যাতে লোকজন আসতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সিলেট-চট্টগ্রামে যেভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে এখানেও তেমন করা হচ্ছে। এসব করে লাভ হবেনা। সব বাধা উপেক্ষা করে মানুষ আসবে। তিনি বলেন, সকালে মাদ্রাসা মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ করতে গেলে বাধা দেয়া হয়।
তফসীল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড নাই। তাই তাদের তফসীল ঘোষনার মূল্য নেই। জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে অবৈধ সরকার যেমন উড়ে যাবে তেমনি নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও। দেশের যোগ্য সন্তানদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার আর নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যদিয়ে দেশ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্ধকার কারাগার থেকে মুক্ত করবে। মিনু বলেন, এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাতারে শামিল। এদিকে জাতীয় যুক্তফ্রন্টের সমাবেশ ঘিরে রাজশাহী অঞ্চলে মানুষের মাঝে উৎসব বিরাজ করছে। বিভাগের দশ রাজনৈতিক জেলার তৃণমূল পর্যায় নেতাকর্মী সমর্থকরা সমাবেশে যোগদেবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও হঠাৎ করে উদ্যেশ্যমূলক পরিবহন ধর্মঘটের ডাক কিছুটা বিঘ্ন ঘটাবে। তারপরও তারা যেভাবেই হোক যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সমাবেশকে সামনে রেখে হঠাৎ পরিবহন ধর্মঘটের ডাককে সরকারের পাতানো খেলা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। সাধারণ মানুষের মাঝে এনিয়ে ক্ষোভ কম নয়। এটা কাম্য নয় বলে সাধারণ মানুষ মন্তব্য করেছে। নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, নগরীর সবকটি ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়ে অনির্বাচিত সরকারকে টা টা জানাবে।
নগর সেক্রেটারী এড. শফিকুল হক মিলন বলেন, প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে সরকার যতই বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করুক সব কিছু উপেক্ষা করে সামাবেশে মানুষের ঢল নামবে। মহিলাদল নেত্রী এড. রওশান আরা পপি বলেন, সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত থাকবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ উপলক্ষে মাদ্রাসা ময়দানও কানায় কানায় ভোরে যাবে। এ ময়দানে সাধারণত বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চেয়ারপারসন ও সভানেত্রীরা জনসভা করেন। এবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নেই। তার কারামুক্তির দাবী নিয়ে মানুষের ঢল নামবে। প্রমাণ করে দেবে মুক্ত বেগম জিয়ার চেয়ে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাও কম নয়। এরপর থাকবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কান্ডারী ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিএনপি ও জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ ছুটির দিন হওয়ায় সবশ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সমাবেশ নিয়ে চলছে প্রচার প্রচারনা। দেয়ালে দেয়ালে লেগেছে পোষ্টার। হচ্ছে মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি। নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। #



 

Show all comments
  • Azam ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:২৯ এএম says : 0
    People do hope that the Jatiya Oikya Front leaders must set free Bangladesh from the oppression of the autocratic government rescuing lost-democracy.Election schedule announced by the chief election commissioner is a ill-motive to back the despotic AL government for abetting vote rigging in the general election. Nobody trusts this election Commission that was formed of the partisan people. Nobody believes the AL. The chief election commissioner wants to hold an unilateral election directed by the AL. The election schedule didn't reflect the will of the people. The chief election commissioner must be stepped down. He must be toppled down by the massive movements & must be reformed a New election Commission to hold a free, fair, neutral, credible and transparent general election to form a democratic government. Long live the Jatiya Oikya Front.
    Total Reply(0) Reply
  • নিঝুম ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৯ এএম says : 0
    মুখে না বলে কাজে কিছু করে দেখান
    Total Reply(0) Reply
  • Shahadat Hossain ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪০ পিএম says : 0
    দুদু তো বলছে সাত তারিখ থেকে ঐক্যফ্রন্ট দেশ চালাবে তাহলে এখন আন্দোলন কি জন্য করবে
    Total Reply(0) Reply
  • Idris Miah ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪১ পিএম says : 0
    আন্দোলন তোমাদের মুখেই থাকবে।।এই দিন নয় সেই দিন আন্দোলন হবে কোন দিন।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir Pordan ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪২ পিএম says : 0
    আগে শুরু করেন প্যাঁচাল পাইরেন না তো।
    Total Reply(0) Reply
  • লাবনী ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৩৬ পিএম says : 0
    এরকম তো অনেক ঘোষণাই শুনেছি। এখন আর এসব কথা শুনতে ভালো লাগে না পারলে কিছু করেন । না পারলে চুপ করে থাকেন
    Total Reply(0) Reply
  • সুলতান ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৪০ পিএম says : 0
    সরকার যতই বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করুক সব কিছু উপেক্ষা করে সামাবেশে মানুষের ঢল নামবে। ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Readun ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ২:৪৯ পিএম says : 0
    Aj koyek mash dhore shudu andoloner kotha sunchi kintu ekhon porjonto kono kothor andolon chokhe porlona r hobekina sondeho ache
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ