Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসিকে সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে

সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তবে এজন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি, তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না করা, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন জোটের নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব:) অলি আহমেদ। তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের হয়রানি করবে না এর নিশ্চয়তা দিতে হবে। গতকাল (রোববার) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোটের অবস্থান তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা আছে বলে আমরা ২০ দলীয় জোট প্রতিকূলতার মধ্যেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করছি। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি, অনাচারসহ তিস্তার পানি আনতে ব্যর্থতা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষায় সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি। সেই কারণে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। লিখিত বক্তব্যে অলি আহমেদ বলেন, আমরা দাবি করছি, সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে। তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের হয়রানি করবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও ২০ দলের সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অলি আহমেদ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর প্রফেসর আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের এমএ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপিবির রিটা রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মন্ডল প্রমূখ। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অলি আহমেদ

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ