Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশ পাতানো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:০৮ পিএম | আপডেট : ৫:৩২ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সোমবার সংসদ নির্বাচনের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করার কথা ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন করতে রাজি হওয়া বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আংশিক দাবি মিটাতেই এ তারিখ পিছানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরা।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও অমিমাংসিত প্রধান রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারের সাথে আলোচনার দাবি জানানোর মধ্যে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের এ ঘোষণা দেয়া হল। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখনো নির্বাচন একমাস পিছানো, বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা নয়, নির্বাচনকালিন বিশেষ মন্ত্রীসভা গঠনের দাবি জানাচ্ছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জোর দিয়ে বলছে, আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্যগণ ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকা উচিত।
পরস্পরের প্রতি রাজনীতিবিদদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা অনাস্থা এবং ক্ষতিকর অনমনীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশের বিগত চারটি জাতীয় নির্বাচন (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে। ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই নির্বাচনকালীণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক বিধান বিলুপ্ত করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় ক্ষমতাসীন দল ৫০ শতাংশ সংসদীয় আসন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় পেয়ে যায়। এই নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, কেউ কেউ ২০১৪ সালের নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন পর্যন্ত বলেছেন।
এই অবস্থা যদি বিদ্যমান থাকে এবং আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের মতো পরিবেশেই হয়, শেখ হাসিনা হয়তো খুব সহজেই টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারবেন। টানা ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশ শাসন করা সহজ ব্যাপার নয় এবং ১৯৭১ সাল থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোন সামরিক কিংবা রাজনৈতিক নেতাই এ ব্যাপারে সাফল্য অর্জন করতে পারেননি।
দুর্বল বিরোধীদলের তুলনায় শেখ হাসিনা একজন কর্তৃত্বপূর্ণ নেত্রী। তার রয়েছে অসাধারণ রাজনৈতিক দক্ষতা ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুক্ষ দৃষ্টি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের ধ্বংস ও পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দুই ক্ষেত্রেই অনেক বন্ধু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ১০ বছরের শাসনের পরে, শেখ হাসিনার দল তাদের মতাদর্শ অনুযায়ী পছন্দের লোকদের বাংলাদেশের প্রধান রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সব পর্যায়ে নিয়োগ করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এর ফলে তার দলকে ক্ষমতায় থাকা নিয়ে কোন বিরোধের সম্মুখিন হতে হয়নি।
শেখ হাসিনার অধীনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন: হাসিনার শক্ত শাসন বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনেছে, যার ফলে গত দশ বছরে দর্শনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল বছরে ১,৩৩৫ ডলার। ২০১৩ সালের থেকে যা ৪০ শতাংশ বেশী। একই সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় বেড়েছিল যথাক্রমে ১৪ ও ২১ শতাংশ। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। ২০২৪ সালে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতাও বাংলাদেশ অর্জন করেছে।



 

Show all comments
  • Mizan Chowdhury ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩২ পিএম says : 0
    এই অবৈধ আওয়ামী সরকারের অধীনে বিগত দশ বছরে কোনো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা, সংসদ,জেলা,মেয়র নির্বাচন কোনোটাই সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ হতে দেয় নাই, সুতরাং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার আগ পর্যন্ত নির্বাচন না করে আন্দোলনেই থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি এবং এখন থেকেই নির্বাচন কমিশন, ঢাকা,সংসদ ভবন ঘেরাও করা এখন সময়ের দাবি
    Total Reply(1) Reply
    • Sp Joy Mizan Chowdhury ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৪ পিএম says : 4
      তারা যেখানে জিতবে সেটা বৈধ অার হারলেই অবৈধ
  • Mizan Chowdhury Sp Joy ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৫ পিএম says : 0
    সরকারের এতই জনপ্রিয়তা এতই উন্নয়ন তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে এত ভয় কিসের
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Khan Hridoy ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৯ পিএম says : 0
    Absolutely right
    Total Reply(0) Reply
  • Din Mohmmad ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪০ পিএম says : 0
    দেখেতো তাই মনে হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nizam ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪১ পিএম says : 0
    পাতানো নির্বাচন এটাই মনে হচ্ছে,,,,সে দিকে যাচ্ছে,,৷
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪১ পিএম says : 0
    ১০০%সত্য
    Total Reply(0) Reply
  • Md Suman ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪২ পিএম says : 0
    আগেই জানা কথা, সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে না
    Total Reply(0) Reply
  • L D A Masum ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪২ পিএম says : 0
    very sad
    Total Reply(0) Reply
  • Amir Shohag ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৪ পিএম says : 1
    আমার মনে হয় সামনে একটা খেলা অপেক্ষা করতেছে,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • SHAHIDUL KHAN ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৬ পিএম says : 0
    EVM is the Management to make a mechanism in Elections. Joy BAL,who does not FALL ever. A truth in the UNIVERSAL!
    Total Reply(0) Reply
  • মো. হুমায়ুন কবির ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম says : 0
    গোটা জাতি সামনে একটা নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, সন্দেহ-বিতর্ক-আপত্তিহীন এবং সর্বোপরি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখার গভীর আগ্রহে অপেক্ষমান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ