Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে নিত্যপণ্য : শীতের সবজিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস

ঢাকা-চট্টগ্রাম কাঁচাবাজার

| প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শীতের অধিকাংশ সবজির দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সবজির উপর নির্ভর করে রাজধানীর কাঁচাবাজার। যে সময় সরবরাহ ভালো থাকে তখন স্বস্তি আর যখন সরবরাহ কম থাকে তখন আপনা আপনি বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির দাম। রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যাবধানে সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, লাউ, কাঁচা টমেটো, মুলা, বেগুনসহ নানা রকমের সবজিতে বাজার ভর্তি। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের সপ্তাহের তুলনায় পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম।

কমে এসেছে শীতকালীন নতুন সবজি শিমের দাম। গতকালের বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। আগের চেয়ে কিছুটা সরবরাহ বেড়েছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির। এতে দামও কিছুটা কমে এসেছে এই সপ্তাহে। বাজার ও আকারভেদে ফুলকপি ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ আকারভেদে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গতকালের বাজারে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। তবে কাঁচা টমেটোও বাজারে আসতে শুরু করেছে। এসব টমেটোর দাম একটু কম। ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা টমেটো। এদিকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গাজর।

কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে পাইকারি বাজার ছাড়া সবকটি খুচরা বাজারে এই মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং আমদানী করা পেঁয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের মধ্যে এমন সময়ও আসে যখন সবজিতে বাজার ভরা থাকে। কিন্ত সেগুলো কেনার মতো কোনো লোক থাকে না। সরবরাহ বেশি থাকলে এরকম অবস্থা হয়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম আরও কমবে বলেও জানান তারা। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং মাছের দাম। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ ছিল বেশ ভালো। দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেও ইলিশের দাম ছিল অনেক চড়া। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় বেড়েছিল দাম। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করে মাছের দাম। গতকাল বাজারে ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪৫০-৫০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা দরে। আগের সপ্তাহের মতোই রুই মাছ বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ টাকা কেজি।

শীতের সবজিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে। কমছে দামও। স্থিতিশীল মাছ ও গোশতের দাম। পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমছে। আদার দাম আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী। ডিমের ডজন ১০০ টাকার নিচে নামছে না। গতকাল নগরীর স্টিল মিল ও কাজির দেউড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির সরবরাহ প্রচুর। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি আসছে বেশি। এ কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন আলুর দাম এখনও ৯০-১০০ টাকায় স্থির রয়েছে। পুরান আলুর কেজি ২৫-২৮টাকা।
শিমের দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতি কেজি ২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৪০-৪৫ টাকা, কচুরছড়া ৪০-৪৫ টাকা, তিতা করলা ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা এবং লাল শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকা এবং মাঝারি সাইজ ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, লইট্টা ১০০-১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৫০০ টাকা, বাটা ৪০০-৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে চিংড়ি ৪০০-৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা ও দেশি কৈ ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হাড়সহ গরুর গোশত ৪৮০-৫০০ টাকা, হাড় ছাড়া ৬০০-৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা, সোনালিকা ২৩০-২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩-৫ টাকা কমেছে। ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি রসুন ৬০-৬৫ টাকা এবং চীন থেকে আমদানিকৃত আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব রকমের চালের দাম কেজি প্রতি ১-২ টাকা কমেছে। ডাল, চিনি ও গুঁড়ো দুধের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চা-পাতার দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সব

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ