পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনী ট্রেন চলছে। সবাই চায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ জন্য প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। দেশ-বিদেশ সবার বক্তব্য ‘সমতল মাঠ ছাড়া খেলা জমেনা’। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞের এটা দীর্ঘদিনের দাবি। জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী-উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোরও বরাবরের দাবি এটাই। এমনকি ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তফসিল ঘোষণার ১০ দিন পরও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ইসির দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বরং দলীয়করণের অভিযোগে অভিযুক্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা-পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন এমন স্কুল, মাদরাসা, কলেজের শিক্ষক ও ব্যাংক বীমা, স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি জানতে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে নতুন করে শুরু হয়েছে ভীতি-আতঙ্ক-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ইসি জানিয়েছে তারা এমন নির্দেশনা কাউকে দেননি। অথচ দেশী-বিদেশী সবার দৃষ্টি নির্বাচন কমিশনের দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে ইসি এখনোই আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ না করলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ বলেছেন, আইন শৃংখলা বাহিনী পোলিং এজেন্ডদের এভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। এটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। অভিন্ন মত দেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এম হাফিজ উদ্দিন খান, আলী ইমাম মজুমদার ও ড. বদিউল আলম মজুমদার।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ চলে যায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। গতকাল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ওপর; এখানে সরকারের কিছুই করার নেই’। ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের কথাই যেন ওবায়দুল কাদেরের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। এখন ইসি’র দায়িত্ব সাংবিধানিক ক্ষমতার ব্যবহার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাঠ তৈরি করা। সংবিধান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ইসি’ নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ গঠন কঠিন কিছু নয়। চাইলেই ‘আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রন’ তারা অনায়াসে নিতে পারে। অবশ্য তিন জন নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন তাতে আভাস মেলে ‘নিরপেক্ষ’ এবং ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনে তারা বদ্ধপরিকর। ‘কথায় কঠোর’ হলেও মাঠের বাস্তবতায় অনেকটাই ‘নিস্তেজ’ দেখা যায়। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ইসির সংলাপে সিইসির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সে তালিকা ইসিতে জমা দিয়েছে বিএনপি। তবে সুত্র জানায়, ইসি থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ আইজিপিকে চিঠি দেয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় সহকারী প্রিডাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ‘ব্যাক্তিগত তথ্য’ সংগ্রহের নামে ভীতি আতঙ্ক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি বন্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন? জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশ এভাবে নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। কমিশন চাইলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। বিশেষ করে ভাল মানুষ যাতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং দায়িত্ব পালন করতে না পারে সেই কাজ পুলিশ করছে। পুলিশ এ ধরণের কাজ করে জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে তাঁদের বর্তমান ও অতীত রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া তাদের কাজ নয়।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানিয়েছে এই নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন ইসি সব করবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআিই) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়ে আরো বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতি ইসির দিকে তাকিয়ে আছে। প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন উঠলে ইসি আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ আগের দিন শুক্রবার নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, বাংলাদেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না, এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে আমরা জনগণকে এমন কোনো নির্বাচন উপহার দিতে চাই না, যেন জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু হান্ড্রেড পারসেন্ট সুষ্ঠু নির্বাচন- এটা পৃথিবীর কোনো দেশেই হয় না। সুতরাং একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, যেটা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকবে। একই দিন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, এবার অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারলে আন্তর্জাতিক মহলে মুখ দেখানো যাবে না। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ইসি’র তিন সদস্যের বক্তব্যে ‘কিছু স্ববিরোধীতা’ থাকলেও সবার কথার স্প্রীড গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। প্রশ্ন হচ্ছে ইসি কী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিয়েছে? জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনী উত্তাপ দেশে শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তার অবস্থান এখনো জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে পারেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তাই সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। আর পুলিশ প্রশাসন যেভাবে সরকার দলীয় হয়ে কাজ করছে তা ইসিকে বন্ধ করতে হবে। তারা পুলিশকে চিঠি দিলে হবে না এর বাস্তবায়ন দেখতে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উৎসবের আমেজে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছে জমা দিয়েছে। তিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র ক্রয়ে ব্যাপক জনসমাগমে যানজটের সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে রাস্তা ফাঁকা করতে আইন শৃংখলা বাহিনীকে মিছিল বন্ধ বা রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়নি। অথচ বিএনপির নেতাকর্মীদের রাস্তা ফাঁকা করার প্রয়োজন পড়লো কেন? ইসি কী আইন শৃংখলা বাহিনীর এই পক্ষপাতমূলক ভূমিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? তাছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মহাউৎসবের সময় ইসি ‘উৎসবের আমেজ’ মন্তব্য করলেও বিএনপির মনোনয়ন ক্রয়-বিক্রয়ের আগে রাস্তায় উৎসবের ওপর বিধিনিষেধ দেয়া হলো কেন? ইসি কী এখনো ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ভূমিকায় রয়ে গেছে? রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব নির্বাচনী পোষ্টার রয়েছে তার শতকরা ৯০ ভাগ নৌকা মার্কা প্রত্যাশীদের। ইসি কয়েকদিন আগে সেগুলো সরানোর নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। আজ রোববার পোষ্টার সরানোর শেষ দিন। ইসি কী পদক্ষেপ নেবে? জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, তফলিস ঘোষণা থেকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এবং ভোট গণনার পর ফল প্রকাশ পর্যন্ত প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নির্বাচনকালীণ সময়ে তাদের প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকা উচিত। কিন্তু তা না করে পুলিশ শুধু একটি দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এটা ঠিক নয়। তাদের আচরণ যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়। নির্বাচন কমিশনের উচিত কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করা।
নির্বাচনে সাধারণত: স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংকের কর্মচারী, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে থাকে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যাতিক্রম হবে না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, স্থানীয় থানা পুলিশ ফোন করে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বর্তমান ও অতীত রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। এ নিয়ে তাদের কেউ বিব্রতকর অবস্থায় কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গাজীপুর, নোয়াখালী, রংপুর, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ বেশ কিছু জেলায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে। যা ওই সব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অনুমতি ছাড়া প্রশাসন যন্ত্র এবং পুলিশ প্রশাসন নিজ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের ভয় পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ্যে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী-নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেই এ ধরণের তথ্য সংগ্রহ করছে। তাছাড়া আইন শৃংখলা বাহিনী এখনো ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ্যেই কাজ করছে। বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। নির্বাচনে থাকবো কিনা তা নির্ভর করবে ইসির নিরপেক্ষতার ওপর। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্পষ্টই বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সবাই এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ্যেই কাজ করছে। জানতে চাইলে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) যদি পুলিশের কাছে এ ধরনের চিঠি দিয়ে থাকে তা হলে তারা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। চিঠি না দিলে পুলিশ এ ধরনের কাজ করতে পারে না। এ দায় দায়িত্ব পুলিশের। নির্বাচনকালীন সময়ে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ইসির। তারা সেটা করবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।