Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রয়টার্সের প্রতিবেদন : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১৬ এএম

রোহিঙ্গাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালামের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রোববার রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আরসা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে এই অভিযান শুরু হয় বলে দাবি করে থাকে মিয়ানমার। তবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, সেনা সদস্য ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বেসামরিক মানুষ তাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতে থাকায় পালাতে বাধ্য হয়েছে তারা। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি তদন্ত দল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদ্দেশ্যে অভিযান চালানোর অভিযোগ আনে।
এ বছরের অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হয়।
কিন্তু রোহিঙ্গারা এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে থাকে। একইসঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীও এখনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করে। চুক্তি অনুযায়ী এ মাসের ১৫ তারিখ প্রথম পর্যায়ে ২২০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু শরণার্থী শিবিরে উত্তেজনা দেখা দিলে এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। রোহিঙ্গারা দাবি করে, তাদের ওপর চালানো গণহত্যার বিচার ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব না দেয়া হলে তারা ফেরত যাবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ