Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগামী নির্বাচনে থাকছেন না সুষমা স্বরাজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০৭ পিএম

ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করবেন না বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

চলতি মাসের শেষে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানকার বিদিশার সাংসদ সুষমা। দলের হয়ে প্রচার চালাতে এখন সেখানেই রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ইনদোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও পার্টি-ই সবকিছু ঠিক করে। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আগামী নির্বাচনে আর লড়ব না।’
২০১৬ সালে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকে লাগাতার শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সুষমা স্বরাজ। যে কারণে গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও যেতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এই সরে যাওয়া কি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যজনিত কারণে? নাকি দলের ভিতরে গুরুত্ব কমে যাওয়াই মূল কারণ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
বরাবর লালকৃষ্ণ আদভানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুষমা স্বরাজ। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর উত্থানে যে ক’জন বিজেপি নেতা অখুশি হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। যদিও তার ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক সাফল্যের কারণে এই অবস্থান মন্ত্রিত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েও কার্যত নাম সর্বস্ব মন্ত্রী হয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাই হোক বা পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ, বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখছেন নরেন্দ্র মোদী।
সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও প্রকট হয়ে ধরা পড়ে বছরের শুরুতে। লাভ জিহাদ নিয়ে দেশজুড়ে যখন তাণ্ডব চালাচ্ছিল গেরুয়াপন্থীরা, সেই সময় লখনৌয়ের ভিন্নধর্মী এক দম্পতির পাশে দাঁড়ান সুষমা। পাসপোর্ট নিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন ওই দম্পতি। যার তীব্র প্রতিবাদ করেন সুষমা। কিন্তু গোটা ঘটনায় হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে। ইন্টারনেট ট্রোলিংয়ের শিকার হন। সেই সময় রাজনাথ সিংহ ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি সুষমা। বিরোধী দল কংগ্রেস তার হয়ে কথা বললেও, নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ সব ঘটনার জেরে তিনি সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা, এখন পর্যন্ত তার সদুত্তর মেলেনি। রাজ্যসভার প্রার্থী করে তাকে সংসদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে বিজেপির অনেক নেতা ধারণা করছেন। সূত্র: আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুষমা স্বরাজ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ